Pakistan: পাকিস্তানের ৭৫ বছরে প্রধানমন্ত্রীরা অসহায়, ইমরানের কিছুই করার নেই

পাকিস্তানের (Pakistan) কোনও প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। রবিবারও তাই হতে চলেছে! ১৯৪৭ সালে দেশটি জন্মের পর ৭৫টি বসন্ত পার করেছে। পরমাণু শক্তিধর হলেও…

পাকিস্তানের (Pakistan) কোনও প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। রবিবারও তাই হতে চলেছে! ১৯৪৭ সালে দেশটি জন্মের পর ৭৫টি বসন্ত পার করেছে। পরমাণু শক্তিধর হলেও গণতন্ত্রের নিরিখে সাবালক নয়। পাক কুর্সিতে যারা বসেন, তারা মোটামুটি নিশ্চিত থাকেন পূর্ণ মেয়াদ থাকা যাবে না। প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান হোন বা সর্বশেষ ইমরান খান, হুকুমত-এ-পাকিস্তান কাউকেই বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারে না।

রবিবার সেই অনিশ্চিত ঐতিহ্য বজায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত ইমরান খানের। পাক জাতীয় সংসদের বিরোধী জোটের অনাস্থা ভোটে জয়ী হতে চল শাহবাজ শরিফও এই মেয়াদে স্বল্প সময়ের জন্যই প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। কারণ দ়েশটির জাতীয় নির্বাচন আসন্ন।

বিরোধীদের জোট অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছে। শরিকদের পক্ষ ত্যাগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার অনাস্থা ভোটের আগে অস্থির পাকিস্তান। দেশজুড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। 

একপ্রেস ট্রিবিউন জানাচ্ছে, ক্ষমতাসীন তেহরিক ই ইনসাফের সরকারকে উৎখাতে বিদেশি চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগে  ইমরান খান দেশজুড়ে তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।  ভাষণে ইমরান খান বলেন, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আপনার আওয়াজ তুলুন এবং প্রতিবাদ করুন। এটি আমার জন্য নয়, দেশের ভবিষ্যতের জন্য।

ইমরান খান দাবি করে আসছেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একটি বিদেশি শক্তি চক্রান্ত করছে। নাম উল্লেখ না করে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এই অভিযোগ ইঙ্গিত করেন। এর জেরে পাক রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন ছড়ায়।

গত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনি বলেন  হুমকি দেওয়া চিঠির কথা। সেই ভাষণে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলেন। তবে দ্রুত তা সংশোধন করেন।