Opposition Politics: উৎসবের জনসংযোগে পিছিয়ে বিজেপি, এগিয়ে সিপিআইএম

একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের (TMC) তৃণমূল কংগ্রেস। যা কেন্দ্র করে কখনও রাজপথে আবার কখনও জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তুলেছে (Opposition Politics) বিরোধীরা৷…

CPM-BJP

একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের (TMC) তৃণমূল কংগ্রেস। যা কেন্দ্র করে কখনও রাজপথে আবার কখনও জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তুলেছে (Opposition Politics) বিরোধীরা৷ কিন্তু শারোদতসবের আবহে যে জনসংযোগ (Public Relations) কর্মসূচি নেয় রাজনৈতিক দলগুলি তাতে বিরোধী পরিসরে অনেক এগিয়ে (CPIM) বাম শিবির। আর পিছিয়ে (BJP) রাম শিবির। বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপির অন্দরেই হয়েছে এমন পর্যালোচনা।

কলকাতা থেকে জেলা বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তা কমিটির মাথায় রয়েছেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। ইউনেস্কোর সম্মানকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দুর্গাপুজোর সমারোহে জোর দিয়েছিল শাসক শিবির। তাতে অনেকটাই ফল মিলেছে। শুক্রবার জেলায় জেলায় আর শনিবার রেড রোডের বিসর্জন কার্নিভাল ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

   

এদিকে বিরোধী দলের হাল ফিকে। বিজেপির তরফে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল৷ ২০২০ সালে শুরু হওয়া দূর্গাপুজো এবার শেষবারের মতো উদযাপন করলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এবারের পুজোর শুরুতেই অমিত শাহকে চেয়েছিলেন বাংলার বিজেপি নেতারা৷ কিন্তু হেভিওয়েট কাউকেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পা ফেলতে দেখা যায়নি। নমো নমো করে পুজো হয়েছে ইজেডসিসিতে৷

অন্যদিকে, দূর্গাপুজোতে কলকাতা ও জেলাজুড়ে প্রায় ১০ হাজার বইয়ের স্টল দিয়েছে বামেরা। একাধিক জায়গায় তাদের স্টলে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় এবং হামলার বিরুদ্ধে আন্দোলন উৎসবের মাঝে তীব্র আলোড়ন ফেলে দেয়। বাম শিবিরের রিপোর্ট, বিভিন্ন জায়গায় সাড়াও মিলেছে দারুণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎসবে ধর্মনিরপেক্ষ বাম দলগুলির জনসংযোগের এই পন্থা নতুন কিছু না হলেও কিছুটা লাভ হয়েছে আলিমুদ্দিনের জন্য৷ একাধিক আন্দোলন, বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝে তারা কিছুটা জনসংযোগ সেরে ফেলেছে।

যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, কালীপুজো মিটলেই ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করবেন তারা৷ এবার আন্দোলন চলবে জেলায় জেলায়৷ কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শিকে ছিঁড়বে? কারণ, রাজ্য স্তরের নেতারা জনসংযোগের কথা বললেও বিজেপি বুথ স্তরের সংগঠন একেবারে দুর্বল। সেখান থেকে কামব্যাক কীভাবে করবে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে৷