নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্বাচনের আবেদন জমা পড়ল পাকিস্তান পার্লামেন্টে। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। এই সিদ্ধান্তের ঠিক পরেই বিরোধীরা এই আবেদন করেছে।
পাকিস্তানের সংবাদপত্রগুলির খবর, পরিস্থিতি যে দিকে তাতে ক্ষমতা হারানো প্রায় নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। ইমরানের বিরুদ্ধে আর্থিক অব্যবস্থা এবং ভুল বিদেশনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এর জেরে অনাস্থা ডাকা হয়েছে।
কাগজে কলমে পাকিস্তানের ৩৪২ আসনের আইনসভায় সরকারে থাকা দল পিটিআই এবং জোটসঙ্গীদের আসন রয়েছে ১৭৬টি। আর বিরোধীদের আসন রয়েছে ১৬৩টি। তবে মঙ্গলবার সরকারের শরিক এমকিউএম জানায় তাদের সাত সংসদ সদস্য বিরোধীদের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন। এর পরেই খান সাহেবের কুর্সি নড়বড়ে হয়ে যায়। তবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে ছোট ছোট কয়েকটি দলের সমর্থনে ক্ষমতায় টিকে যাওয়ার আশা করছেন ইমরান খান।