অতীতের সব রেকর্ড ভাঙায় মুদ্রাস্ফীতির জেরে নাকাল দেশবাসী

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে এবার বড়সড় ধাক্কা খেল সাধারণ দেশবাসী। জানা গিয়েছে, মার্চে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯৫%, যা গত ১৭ মাসের…

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে এবার বড়সড় ধাক্কা খেল সাধারণ দেশবাসী। জানা গিয়েছে, মার্চে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৯৫%, যা গত ১৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ মার্চে মুদ্রাস্ফীতি গত ১৭ মাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.০৭ শতাংশ।

মার্চে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে খাদ্যপণ্যের খরচের কারণে। গত মার্চে খুচরো খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এই নিয়ে টানা তৃতীয় মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি আরবিআই-এর সন্তোষজনক স্তরের উপরেই রয়ে গেল।

উল্লেখ্য, আরবিআই মুদ্রাস্ফীতির হারের জন্য ৬% ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। মার্চ মাসে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফন হয়েছে ভোজ্যতেল ও সবজির দামে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার দ্বি-মাসিক আর্থিক পর্যালোচনায় প্রধানত খুচরা মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের দিকে নজর দেয়।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ খাদ্যশস্য উৎপাদন, ভোজ্যতেল সরবরাহ এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সার রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেছে। এ কারণে খাদ্য ও পানীয়ের দাম বেড়েছে। এ বছর পাম অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।