Bengali New Year: হরেক ভার্তায় ‘পান্তাময়’ বাঙালিয়ানা

দিনকালের নিরিখে অনেক কিছু বদলে যায়। তবে প্রতিটি উত্সব পালনের একটা নিজস্ব প্রথা আছে। যেমন বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিনটি (Bengali New Year) নিদেন পক্ষে…

must-try-this-bartha-for-this-begali-new-year

দিনকালের নিরিখে অনেক কিছু বদলে যায়। তবে প্রতিটি উত্সব পালনের একটা নিজস্ব প্রথা আছে। যেমন বাঙালির নতুন বছরের প্রথম দিনটি (Bengali New Year) নিদেন পক্ষে বাড়িতে অন্য রকম রান্না, খাওয়াদাওয়া অর্থাৎ টিপিক্যাল বেঙ্গলি খানা। ওই শুক্তো, কুচো চিংড়ি দিয়ে মোচার ঘণ্ট, নারকেল দিয়ে সোনামুগ ডাল, ধোঁকার ডালনা, দইমাছ, কাঁচা আমের চাটনি। রোববার সকালে লুচি-আলুচচ্চড়ি, কালোজিরে-কাঁচালংকা ফোড়ন দিয়ে, অনেক বাড়িতেই হয়। ওই দিন না হয় বাড়িতেই কয়েকখানা হিঙের কচুরি বানিয়ে নেব, আর কিশমিশ-নারকোল দিয়ে মিষ্টি ঘন ছোলার ডাল। একটাই তো দিন, বাঙালিয়ানায় বর্তে থাকা। 

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটির আলাদাই বিশেষত্ব রয়েছে সমস্ত বাঙালির কাছে। এদিন বাংলাদেশ সহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং অন্যান্য রাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায় নতুন আশা, মঙ্গল কামনা এবং বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করেন দিনটি। চলে নতুন জামাকাপড় গায়ে জড়িয়ে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। এছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে রঙিন কুচকাওয়াজ, ঐতিহ্যবাহী-শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশনাও। ওই দিন অনেক বাড়িতেই নিয়ম রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ভর্তা সহ পান্তা-ইলিশ খাওয়ার। এক্ষেত্রে আগেরদিন রাতে ভাত রেঁধে জল ঢেলে দেওয়া হয়। এই ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয় ইলিশ ভাজা। সঙ্গে আলু ভর্তা, কাঁচা লঙ্কা, লবণ, পেঁয়াজ আর সর্ষের তেল। উফ, ভাবলেই জিভে হল আসে! তাই নববর্ষের এই বিশেষ দিনে বাঙালিয়ানা বজায় রাখতে আপনিও বানিয়ে ফেলতে পারেন পান্তা ভাতের সঙ্গে এই রেসিপি।

বেগুন ভর্তা

উপকরণঃ বেগুন – ৪০০ গ্রাম, পেঁয়াজকুচি – ১/৪ কাপ, কাঁচালঙ্কা কুচি – ৪ থেকে ৫ টি, ধনেপাতা কুচি – পরিমানমতো, নুন – পরিমানমতো, সরষের তেল – পরিমানমতো

পদ্ধতিঃ
নরম হওয়া পর্যন্ত বেগুন আঁচে পুড়িয়ে নিন।
পোড়া হয়ে গেলে বেগুন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
তারপর ধীরে ধীরে বেগুনের ছাল ভালো করে ছাড়িয়ে নিয়ে মেখে নিন।
এবার পেঁয়াজকুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি, ধনেপাতা কুচি, পরিমাণ অনুযায়ী নুন ও সরষের তেল দিয়ে ভালো করে মেখে পান্তা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

চিংড়ির শুঁটকি ভর্তা

উপকরণঃ চিংড়ির শুঁটকি – ১/২ কাপ, পেঁয়াজকুচি – ১/২ কাপ, লঙ্কাগুঁড়ো – ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়ো – ১ চা-চামচ, ঝাল আচারের তেল – ২ টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা – ৫ টি, সরষের তেল – ১/২ কাপ, নুন – পরিমানমতো

পদ্ধতিঃ
গরম শুকনো পাত্রে চিংড়ির শুঁটকি ভেজে নিয়ে জলে সেদ্ধ করুন।
সেদ্ধ হয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে নিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে তেলে রসুন ফোড়ন দিন।
তারপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে ২ মিনিট ভাজার পর শুঁটকি দিয়ে সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন।
এবার হাফ কাপ জল দিয়ে অল্প আঁচে কষিয়ে রান্না করুন।
পুরো জল শুকিয়ে গেলে আচারের তেল দিয়ে মাখা করে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
সব শেষে মিহি করে বেটে পান্তা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।