Bangladesh: ১১ বছরেও হয়নি তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি, মমতাকে কূটনৈতিক কটাক্ষ হাসিনা সরকারের

সম্পর্কের সৌহার্দ্য আছে। তেমনই কূটনৈতিক কটাক্ষ আছে। বাংলাদেশের তরফে ফের ঝুলে থাকা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বার্তা এসেছে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে (Bangladesh) বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড.…

সম্পর্কের সৌহার্দ্য আছে। তেমনই কূটনৈতিক কটাক্ষ আছে। বাংলাদেশের তরফে ফের ঝুলে থাকা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বার্তা এসেছে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে (Bangladesh) বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্য যে ১১ বছরেও আমরা তিস্তা জলবন্টন চুক্তির সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি।

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী যে এগারো বছরের কথা বলেছেন সেই এক দশক পশ্চিমবঙ্গে শাসন ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আর এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তিস্তা নদীর জলবণ্টন চুক্তি হয়নি।

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা জনবণ্টনে রাজি না হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, গরমের সময় তিস্তায় জল কম থাকে। কোনওভাবেই তখন পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ উপেক্ষা করে প্রতিবেশি দেশে জল দেওয়া সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের যুক্তি, তিস্তা যেহেতু আন্তর্জাতিক নদী। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এই নদীর সুষ্ঠু জলবণ্টন দরকার। বাংলাদেশের তিস্তার জল পাওয়ার অধিকার আছে।

তিস্তা নদীর গতিপথে ভারত ও বাংলাদেশ পড়ছে। ভারতের সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে রংপুরে এসে ব্রহ্মপুত্রে মিশেছে।

১৯৮৩ সালে দুই দেশের বৈঠকে স্থির হয় তিস্তা নদীর জলের ৩৬ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ এবং ৩৯ শতাংশ পাবে ভারত। বাকি ২৫ শতাংশ জল সংরক্ষিত রাখা হবে। কিন্তু সেই চুক্তি মানা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে এমনটা হয়ে আছে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, জুলাইয়ে নয়াদিল্লি সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুনে উভয় দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জুনে উভয় দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে ফের তিস্তা চুক্তি নিয়ে সরব ঢাকা। ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহলের ধারণা, বাংলাদেশ ও চিনের সম্পর্ক যেভাবে বাড়ছে তার অন্যতম কারণ, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি। কারণ, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে এই চুক্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তারা এই চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এই নদীগুলি দুই দেশে বহমান। আমরা সব নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা ভাগাভাগি ও একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। উভয় পক্ষ এবং নদী এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য যৌথ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

তিনি নাম না করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, আমরা প্রস্তুত, তারাও (ভারত) প্রস্তুত, তবু এখনো চুক্তি হয়নি। এটা একটা লজ্জাজনক ব্যপার। ভবিষ্যতে জলের জন্য বড় ধরনের হাহাকার হবে। এবং আমাদের এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।