Mask: আমাদের নতুন পোশাক : মাস্ক মাস্ট

‘আমার পরাণ যাহা চাই, তুমি তাই…’ তবে এখন আমাদের ‘পরাণ’ যা চায় আর আমরা ‘পরনে’ যেটা চাই – এই দুটোর মধ্যে মিলের থেকে অমিলই বেশী।…

mask Corona

‘আমার পরাণ যাহা চাই, তুমি তাই…’ তবে এখন আমাদের ‘পরাণ’ যা চায় আর আমরা ‘পরনে’ যেটা চাই – এই দুটোর মধ্যে মিলের থেকে অমিলই বেশী। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো – মাস্ক। (Mask) আসলে, যুদ্ধ বরাবরই বদলে এনেছে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে । যেমন- ফরাসি বিপ্লবের পর, রাজা-রানিদের জীবনযাত্রার প্রতি ক্ষোভ থেকে হুপ পেটিকোট-এর (অনেকটা ঘের দেওয়া ফুলে থাকা স্কার্ট বা গাউন, যাতে অনেকখানি কাপড় লাগে) প্রচলন কমে যায়। শুরু হয় কম ঘেরের ‘সিম্পল’ পোশাকের চল।

আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মহিলারা আরও বেশি করে বাইরের চাকরির জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। স্কার্টের বদলে ট্রাউজ়ার্স পরার চল বাড়ে। এই কোভিড-১৯ এর সঙ্গেও তো বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধই চলছে মানুষের। অতিমারির দিনগুলি প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় বহুল পরিবর্তন এনেছে। তারই সঙ্গে বদল এনেছে পরিধানে, সাজসজ্জা নিয়ে চিন্তাভাবনায়।

এরই মধ্যে ঠিক যেমন বঙ্গজীবনের অঙ্গ বোরোলিন, তেমনই পৃথিবীবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সেঁটে লেগে আছে মাস্ক। মাস্কবিহীন অবস্থায় বেরোনো মানেই ‘হাসি হাসি পড়বো ফাঁসি’ বলতে বলতে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়া। তাই এখন থেকে মাস্ক-ই হলো আসল অ্যাকসেসরি। বলা ভালো, সামগ্রিক পোশাকটাই এখন থ্রি পিস হয়ে গিয়েছে। শুধু টপ আর বটম-ওয়্যার নয়। তার সঙ্গে মাস্ক-ও মাস্ট। অধিকাংশ ফ্যাশন ব্রান্ডই মাস্কের বৈশিষ্ট্যগুলির কথা মাথায় রেখেই মাস্কের ‘লুক’-এ নজর দিচ্ছে। আবার অনেক পোশাক ব্র্যান্ডই যে কোনো ড্রেসের সঙ্গে নিয়ে এসেছে ‘এসেনশিয়াল পাউচ’ । যার মধ্যে ওয়াশেবল মেটিরিয়ালের জামাকাপড় ছাড়াও রয়েছে মেডিকেটেড মাস্ক। আবার বিপণিগুলিতে কোনও পোশাক কিনতে গেলে তার সঙ্গে ম্যাচিং মাস্ক দেখিয়ে দিচ্ছেন কর্মীরা। তবে শুধু দেখনদারিতে মজে সে মাস্ক না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।

এমব্রয়ডারি করা মাস্কে নকশা করার সময়ে যে ছিদ্রগুলি তৈরি হয়, সেগুলি বন্ধ করা হয়েছে কি না, মাস্কটি বৈজ্ঞানিক বিধি পুরোপুরি মেনে তৈরি হল কি না, সেগুলি ভাল করে দেখে নিয়ে তবেই মাস্ক বাছাই করা উচিত।