Ukraine War: নেই মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার লোক, ইউক্রেনের শহরজুড়ে শ্মশানের নীরবতা

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থা। নেই বিদ্যুৎ, নেই জল, এমনকী মৃতদেহ বহন করার লোকও নেই। সম্প্রতি দেশের এক প্রশাসনিক কর্তা এই খবর জানিয়েছেন। দেশের দক্ষিণের শহর মারিউপোলের…

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থা। নেই বিদ্যুৎ, নেই জল, এমনকী মৃতদেহ বহন করার লোকও নেই। সম্প্রতি দেশের এক প্রশাসনিক কর্তা এই খবর জানিয়েছেন। দেশের দক্ষিণের শহর মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো শনিবার একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে শহরের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন।

বোইচেঙ্কো বলেছেন যে, দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। রাশিয়ান সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে মানবিকতাকে পার করেছে। অনেক সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে রাশিয়ানরা। প্রায় চার লাখ জনসংখ্যার মারিওপোলে পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। তিনি বলেছেন, “আমাদের সমস্ত থার্মাল সাবস্টেশন এই বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর নির্ভর করে, সেই অনুযায়ী আমরা কোনও তাপ পাচ্ছি না।” বোইচেঙ্কো বলেছেন। এলাকায় কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। নেই কোনও জল সরবরাহ। শহরটি সম্পূর্ণরূপে জলহীন।

বোইচেঙ্কো রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, শহরটিকে রুশ সেনা অন্য শহরের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, চিকিৎসা সরবরাহ, এমনকি শিশুর খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য হল শহরকে শ্বাসরোধ করা এবং অসহনীয় চাপের মধ্যে রাখা। গত কয়েক দিন শহরে আহত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। সংখ্যা হাজারে পৌঁছেছে। অবস্থা আরও খারাপ হতে চলেছে। তাঁরা মৃতদেহ উদ্ধার করতেও বের হতে পারেনি।

তিনি বলেছেন, “আমাদের কাছে জ্বালানি ভর্তি ৫০টি বাস ছিল। আমরা শুধু যুদ্ধবিরতি এবং রাস্তা খোলার জন্য অপেক্ষা করছিলাম যাতে আমরা এখান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে পারি। কিন্তু এখন আমদের মাত্র ৩০টি বাস রয়েছে। আমরা সেই বাসগুলিকে অন্য জায়গায় লুকিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেখানেও গোলাগুলির ফলে আরও ১০টি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই আমরা ২০-তে নেমে এসেছি।” যখনই করিডোর শেষ পর্যন্ত তাঁদের জন্য উন্মুক্ত হবে, তখন তাঁদের কাছে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনও বাস অবশিষ্ট থাকবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বোইচেঙ্কো।