এমনিতে বলা হয় নিরেট চিনের (China) দেয়ালের মতোই দেশটির শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির (CPC) বহিরাবরণ। তবে দেয়ালেরও কান আছে! সেই কান কখন যেন শুনে নিয়েছে কয়েকজন চক্রান্তকারীর গোপন আলোচনা। তারা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে নিজেদের গোষ্ঠি মজবুত করছে।
কী সেই ষড়যন্ত্র?
চিন থেকে চিতল চিতল করে যে কয়েকটি কথা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে ঘুরছে তার সারমর্ম হলো, প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বিশেষ নির্দেশে হামলার অপেক্ষা করছে দেশটির সেনাবাহিনী (PLA) পিপলস লিবারেশন আর্মি (চিনা গণফৌজ)। হামলা হবে তাইওয়ানের মাটিতে।
রাশিয়া যেভাবে প্রতিবেশি ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চলাচ্ছে ঠিক সেভাবেই তাইওয়ানের মাটিতে চিনের সামরিক অভিযান করার প্রস্তুতি চলছে। এই প্রস্তুতির জন্য বৈঠকের কিছু অডিও টেপ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
লুড মিডিয়া নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল এই বৈঠকের অডিও প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, তাইওয়ানে আক্রমণের পরিকল্পনা করতে গত ১৪ মে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্তারা।
এখানেই মোড় নিয়েছে পুরো বিষয়টি। কারণ, অতি গোপনীয় সেই বৈঠকের কথা প্রেসিডেন্ট জিনপিং ও কয়েকজন চিনা সেনা কর্তা ছাড়া কেউ জানতেন না। এখান থেকেই সন্দেহ, বৈঠকে উপস্থিত কোনও এক চিনা সেনা কর্তা এই অডিও টেপ ছড়িয়ে দেন। তিনিই প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের একচ্ছত্র শাসনের বিরোধী।
লুড মিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলের দাবি, ১৪ মে ওই বৈঠকের রেকর্ডিং ফাঁস করেছেন মূলত চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতারা। তাঁরা তাইওয়ানের উপর চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামরিক চক্রান্ত প্রকাশ করতে উদ্যোগী হন। অডিওটেপ বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওই অডিওতে পিএলএ কর্মকর্তাদের গ্রাউন্ড স্ট্রাইক বা স্থলভাগ দিয়ে তাইওয়ানের উপর হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গেছে। একইসঙ্গে সাইবার হামলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শোনা গেছে।
১৯৪৯ সালে সশস্ত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে সেই বিপ্লবের পর দেশটির শাসক হন মাও সে তুং। সাত দশক পার করেও এ দেশে বজ্রকঠিন কমিউনিস্ট শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত। এই প্রথমবারের মতো দেশটির শীর্ষ সেনা কর্তাদের বৈঠকের রেকর্ডিং প্রকাশ হয়েছে।