বাংলায় বিজেপি ভেঙে পড়ায় দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে মরিয়া নাড্ডা

রাজ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন। নাড্ডা বললেন…

JP Nadda

রাজ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে দলের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন। নাড্ডা বললেন অভিযোগ থামিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে৷

বুধবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জেপি নাড্ডার বার্তা, ভারতের সব আঞ্চলিক দলই শেষ পর্যন্ত পারিবারিক দলে পরিণত হয়েছে। আরজেডি থেকে সমাজবাদী পার্টি, অকালি দল থেকে ন্যাশনাল কনফারেন্স সবাইকে আমরা হারিয়েছি। তৃণমূল তো পিসি-ভাইপোর দল। ওদেরকেও আমরা শীঘ্রই হারাব।কোথাও বাপ-বেটা দল চালাচ্ছে, কোন দলে আবার শেষ কথা বাপ-বেটি, আবার কোন কোন দল বুয়া-ভাতিজা-র পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

   

তাঁর সংযোজন, একটা সময় কংগ্রেসকে অপরাজেয় মনে হয়। আজ ভারত শুধু কংগ্রেস মুক্ত নয়, ভারতে কংগ্রেসের লুপ্তুপ্রায় অবস্থা। তৃণমূলের অবস্থাও তাই হবে।বিজেপি কোনও ব্যক্তিবিশেষের দল নয়। আজ আমি আছি। কাল আমি থাকব না।

Locket Chatterjee-JP Nadda

এরপর দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে জেপি নাড্ডার বার্তা, পরিস্থিতি দ্রুত বদলাবে । কিন্তু আপনাদের ঘরে বসে কাঁদলে হবে না। বিরোধী দল মার খেলেও আন্দোলন এবং লড়াইয়ে খামতি থাকলে হবে না। মানুষের কাছে সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি বলেন, মহামারীর সময় কেউ না খেয়ে মরেনি। এটাই হচ্ছে মোদী সরকারের সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস মন্ত্রের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত।

এর আগে অবশ্য বঙ্গ সফরে এসে একই কথা বলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি নেতারা আন্দোলনের মাধ্যমে সেভাবে সুর চড়াতে সক্ষম হননি। বরং বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলেরই অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে। জেপি নাড্ডার প্রত্যেকটি নির্দেশকে পাথেয় করে বঙ্গ বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না, এখন সেটাই দেখার।