Jharkhand:’প্রমাণ থাকলে গ্রেফতার করুন’, জোর গলায় চ্যালেঞ্জ হেমন্তর

বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপ মামলায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছিল ইডি(ED)। আজই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা…

jeet win

Jharkhand:'প্রমাণ থাকলে গ্রেফতার করুন', জোর গলায় চ্যালেঞ্জ হেমন্তর

বেআইনি খনি খাদান ও আর্থিক তছরুপ মামলায় ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছিল ইডি(ED)। আজই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী।‌ বরং, ‘প্রমাণ থাকলে গ্রেফতার করুন’ এইভাবে একেবারে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন জেএমএম প্রধান। 

ইডির তলব করা‌ সত্ত্বেও আজ ইডি দফতরে হাজিরার বদলে রাঁচিতে কর্মীদের নিয়ে সভা করেন হেমন্ত। সেখান থেকেই দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে তাঁর ওপর আসা অভিযোগের বিরূদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বক্তব্য,’আজ ছত্তিশগড়ে আমার একটা কর্মসূচি আছে। তা জেনেও ইডি আজ আমায় তলব করেছে। আমি যদি এত বড় অপরাধ করে থাকি, তাহলে আমাকে গ্রেফতার করুন। প্রশ্ন করছেন কেন? তিনি শুধুমাত্র কটাক্ষ করেন নি বরং প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ইডির দিকেও। ইডি অফিসের আশপাশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আপনারা ঝাড়খণ্ডিদের ভয় পান কেন? এই বলেও কঠোর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।

   

তাঁর কথায়, ‘যারা বিজেপির বিরোধিতা করছে, তাঁদের কন্ঠরোধের চেষ্টা চলছে’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে কিছু বহিরাগত গ্যাংকে চিহ্নিত করেছি, যারা আদিবাসী জনগণকে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে দিতে চায় না’। তিনি জোর গলায় দাবি করেন,’ এই রাজ্যে ঝাড়খণ্ডিদেরই শাসন চলবে, বহিরাগতদের নয়’। আসন্ন লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ধুয়ে মুছে যাবে,বলেও দাবি তাঁর।

Advertisements

উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই একই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ঘনিষ্ঠ পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। সেইসময় ঝাড়খণ্ড জুড়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, ঝাড়খণ্ডে বেআইনি খদি খাদান ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত পঙ্কজ মিশ্র। সেই মামলায় তলব করা হয়েছিল হেমন্ত সোরেনকে। 

এর আগে একাধিকবার ঝাড়খণ্ডের ঝাড়খণ্ডে জনমুক্তি মোর্চার সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন৷ সেই সংকটের মুখেও কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন হেমন্ত। এখন আবার নতুন সমস্যায় পড়তে হবে তাঁকে? উঠছে প্রশ্ন।