ISIS chief killed: বিস্ফোরণে ছিটকে এল ISIS প্রধানের দেহের অংশ, দেখলেন বাইডেন-কমলা

সিরিয়ার (Syria) উত্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে ইসলামিস্ট স্টেটের (ISIS) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরাইশি খতম বলে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন…

joe biden

সিরিয়ার (Syria) উত্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অভিযানে ইসলামিস্ট স্টেটের (ISIS) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরাইশি খতম বলে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিবৃতি দিয়েছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজেকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় কোরাইশি। কেমন ছিল সেই মুহূর্ত?

ওয়াশিংটন পোস্ট ও ডয়েচ ভেল জানাচ্ছে, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তের কাছে অভিযান হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ, এই অভিযান পরিচালিত আল কায়েদা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু খবর আসে সীমান্তের সিরিয়ার অংশে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে আছে ইসলামিক স্টেট প্রধান কোরাইশি। পাকা খবর আসতেই প্রস্তুত হয় মার্কিন সেনার কমান্ডোরা। টার্গেট চিহ্নিত হতেই সেই বাড়ির ওপর দু ঘণ্টার বেশি উড়েছিল মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টারগুলো। বাড়ির চারপাশ মার্কিন সেনা ঘিরে রেখেছিল।

আর হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে বসে অপারেশনের ওপর নজর রাখছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই বাড়িতেই সপরিবারে ছিল আইএস প্রধান আল কোরাইশি।

মার্কিন বাহিনী কিছু করার আগেই আল কোরাইশি একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ উড়ে যায়। আল কোরাইশি সহ মোট ১৩ জন মারা যায়। এর মধ্যে ছয়জন মহিলা ও চারজন শিশু।

পেন্টাগনের মিডিয়া সচিব জন কিরবির দাবি, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বুধবার মাঝরাতে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছিল। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার বিরুদ্ধে মূলত এই অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে আইএস প্রধান মারা গেছে।’

জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি এই অপারেশনের পুরো বর্ণনা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জানান। তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণের পর বাড়ির তিনতলার অংশ ভেঙে পড়েছে। আল কোরাইশি ও অন্যদের দেহ ছিটকে বাইরে এসে পড়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির দোতলায় মার্কিন বাহিনী যখন পৌঁছায়, তখন আল কোরাইশির এক সহযোগী ও তার স্ত্রী গুলি চালাতে থাকে। তারা মার্কিন সেনার গুলিতে মারা যায়। সেখানে একটি বাচ্চার দেহ মেলে। মার্কিন সেনার টার্গেট ছিল তিনতলায় থাকা আল কোরাইশি। এর পরেই সে বিস্ফোরণ ঘটায়।

এই অপারেশন গত ডিসেম্বর থেকে পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার বাইডেন এই অভিযানের সবুজ সংকেত দেন। অভিযান যখন চলছে, তখন বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে সর্বশেষ তথ্য জানাতে থাকেন অস্টিন ও ম্যাকেঞ্জি।