এবারে কি জেরায় যাবেন? বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতা বললেন সিবিআই টেন্ডেন্সি ভালো লাগছে না। কেষ্টদা (Anubrata Mondal) লৌহমানব তবে ক্লান্ত। দেখা যাক।
শুক্রবার ফুলবৃষ্টি ও জনপ্লাবনের তরঙ্গে ভেসে বোলপুরে ফিরেছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দলীয় নেতা-সমর্থকরা বলছেন, বোলপুরে এমন সংবর্ধনা আর কোনও নেতা পাননি।
বোলপুরবাসী হতচকিত। বোলপুরের দীর্ঘদিনের বাম বিধায়ক (আরএসপি) ছিলেন তপন হোড়। তেমন একটা প্রচলিত মুখ কোনওদিনও ছিলেন না। আবার এখনকার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অনুব্রত ছায়ায় ঢেকে যাওয়া মানুষ।
বোলপুর থেকে নির্বাচিত ছিলেন সিপিআইএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় (প্রয়াত) সংসদ অধ্যক্ষ হয়েও ততটা ফুল বরণ পাননি যতটা গোরু পাচার মামলায় জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পেয়েছেন।
বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধয়ক শুভেন্দু অধিকারীর দাবি অনুব্রত ছিল মাগুর মাছের ব্যবসায়ী। ওর রাজনৈতিক ক্ষমতার পিছনে কার মদত সেটা রাজ্যবাসী জানেন।
তবে শুক্রবার যে জন-উদ্দীপনা দেখা গেছিল তা কেষ্টদা’র জন্য ভালোবাসা ছাড়া সম্ভব নয়, জানাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। তারা বলছেন, কেষ্টদা নিজেও ভালোবাসা উজাড় করে দেন তো! বোলপুরে ফিরে অনুব্রত বার্তা দেন, আমি আছি, আমি মরিনি আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকব।
টানা ৪৫ দিন পর শুক্রবার বোলপুরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্টদা)। গোরু পাচার মামলায় একদফা জেরা কাটিয়ে এসেছেন। কলকাতা থেকে ফেরার আগে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো চলছেন। সিবিআই তাকে নিজাম প্যালেসে দ্বিতীয় দফায় জেরা করবে। এই ভবনটিতে টিএমসির একাংশ নেতা সিবিআই গুহা বলেন। জেরার ডাকে ফের চলে যাবেন কেষ্টদা। এবারে কি সটান বোলপুর থেকেই হাসপাতালে? লৌহমানব কেষ্টদা’র গুণমুগ্ধরা মুখে না বললেও আশঙ্কিত ভিতরে।