হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে (Iran Hijab Row) ইরানের রাজধানী তেহরান (Tehran) জ্বলছে। রাজপথে পুলিশের গুলি চললেও ইরানি নারীরা তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের সোশ্যাল সাইটে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ চলছে। পতাকার পাশাপাশি হিজাব (Hijab) পোড়াতে শুরু করেছেন ইরানি নারীরা।
হিজাব না পরে প্রকাশ্যে ঘোরার কারণে আমিরি নামে এক যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তার মৃত্যু হয় হাসপাতালে। অভিযোগ, হিজাব না পরায় আমিরিকে পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমিরির মৃত্যুর পর থেকে হিজাব বর্জন প্রতিবাদ চলছে।
সংবাদ সংস্থা ইরনা নিউজ জানাচ্ছে, বিক্ষোভ দমনে সরকার কড়া ভূমিকা নিয়েছে। গুলিতে পাঁচ জন নিহত। এরা সবাই বিক্ষোভকারী। বিবিসির খবর, গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজন। এদের একজন শিশু বলেই জানা যাচ্ছে। তারা সবাই হিজাব বিরোধী প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, ইরানি রাজতন্ত্র ‘শাহ’ শাসনের অবসান হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী গণ আন্দোলনে। আশির দশকের সেই আন্দোলন ইসলামি বিপ্লব বলে পরিচিত। এর পর যে গণতান্ত্রিক ইরান তৈরি হয় তাতে মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি ইরান সরকার হিজাব পরার নিয়মে আরও কড়াকড়ি করেছে। আমিরির মৃত্যুর পর হিজাব বিহীন মহিলা বিক্ষোভ আরও তুঙ্গে।
ইরানের অভ্যন্তরে এই ‘হিজাব বিরোধী বিদ্রোহ’ তুঙ্গে। সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। রাষ্ট্র সংঘ মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC) প্রধান নাদা আল আসিফ বলেছেন, পুলিশের হেফাজতে যুবতী আমিরির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত হোক। তবে তেহরান এই দাবি মানবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তিনি বিক্ষোভ দমনে ইরান সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।