দুশোর বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন এমন তথ্য স্বীকার করার পাশাপাশি ইরান (Iran) সরকার বন্ধ করছে নীতি পুলিশ নজরদারি। যাদের কাজ ছিল হিজাব পরা ও ধর্মীয় বিষয়ে গাফিলতির উপর নজরদারি। তাদের হেফাজতে মাহাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে তীব্র গণআন্দোলনে (Iran Hijab Protest) রক্তাক্ত ইরান।
ইরানের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফার মোনতাজেরি জানিয়েছেন নীতি পুলিশ তুলে নেওয়া হবে। সরকার আন্দোলনকারীদের উপর নরম ভাব দেখাবে।
মাস দুয়েক আগে সঠিক নিয়মে হিজাব পরিধান না করে বাইরে আসায় ইরানের নীতি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ২২ বছর বয়সী কুর্দিস তরুণী মাহসা আমিনিকে। পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, মাহসাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পুলিশ। মাহাসার মৃত্যুর পর ইরান জুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
- মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলছে, ইরানে কয়েকশো বিক্ষোভকারী নিহত।
- গ্রেফতার কয়েক হাজার
- কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ইসলামের মৌলিক গঠনতন্ত্র ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। তবে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগে কোনও কোনও ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়া যেতে পেরে।
১৯৭৯ সালের বিক্ষোভে শাহ রাজতন্ত্রের পতনের পর গঠিত হয় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। এর পর থেকে ইরানে নারীদের মাথায় হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হিজাব আইন কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দেন। তবে মাহাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে নারী বিক্ষোভের পর নরম হলো সরকার।