জোট সঙ্গী এমকিউএম ‘বিরোধী পক্ষ’, ইমরানের চলে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী

আগামী রবিবার পাক সংসদে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেল ইমরানের ভবিষ্যৎ। আস্থা ভোটের…

আগামী রবিবার পাক সংসদে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে। কিন্তু ভোটাভুটি হওয়ার আগেই স্পষ্ট হয়ে গেল ইমরানের ভবিষ্যৎ।

আস্থা ভোটের চারদিন আগ ইমরান সরকারের অন্যতম শরিক দল এমকিউএম ইমরান সরকার থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এখানেই শেষ নয়, এমকিউএম বৃহত্তর বিরোধী জোটের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চুক্তি করেছে। দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, সম্মিলিত বিরোধী জোট এবং এমকিউএমের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। পিপিপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী শক্তির সঙ্গে এমকিউএমের জোট গড়ার যে চুক্তি হয়েছে রাবতা কমিটি সেই চুক্তিকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে। এমকিউএম বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় ইমরান খানের পরাজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

উল্লেখ্য, পাক সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ৩৪২। সরকার গড়ার জাদু সংখ্যা হল ১৭২। কিন্তু এমকিউএম বিরোধী জোটে সামিল হওয়ায় বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৭। অন্যদিকে ইমরানের পাশে রয়েছেন ১৬৪ জন সাংসদ। শেষ পর্যন্ত ইমরান যদি বড় মাপের কোনও চমক দিতে না পারেন তবে পাটিগণিতের বিচারে তাঁর সরকার নিশ্চিতভাবেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। ফলে ইমরান পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।

অন্যদিকে ইমরান দাবি করেছেন, পাকিস্তানের সরকার পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু দেশ টাকা ঢালছে। বিদেশি শক্তির একমাত্র লক্ষ্য হল পাকিস্তানে অস্থিরতা তৈরি করা। ইমরান সরকারের মন্ত্রী আসাদ উমর দাবি করেছেন, দেশে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য কিছু বিদেশি শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়টি চিঠি লিখে দেশের প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছেন। তবে ইমরান সরকারের মন্ত্রী যে কথাই বলুন না কেন, সংখ্যার বিচারে ইমরান সরকারের অবসান এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এখন দেখার আস্থা ভোট অর্থাৎ আগামী রবিবার পর্যন্ত ইমরান তাঁর কুর্সি ধরে রাখবেন নাকি, নিজের সম্মান বাঁচাতে তার আগেই পদত্যাগ করেন।