ক্রমাগত আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার। যার ফলে এবার বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বাঁচাতে দেশবাসীকে কম চা পান করার নিদান দিল।
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাকিস্তানের বাসিন্দারা চায়ের পেছনে ৮৩ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন রুপি (৪০০ মিলিয়ন ডলার) খরচ করেছে। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবালের বলেন, পাকিস্তান সারা বিশ্বে চায়ের অন্যতম আমদানিকারক দেশ এবং এখন চা আমদানির জন্য তাকে ঋণ নিতে হয়।
ইকবাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি, চায়ের ব্যবহার এক থেকে দুই কাপ কমিয়ে দিন। আমাদের ঋণ নিতে হবে এবং চা আমদানি করতে হবে। বাজেট নথি অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে চা আমদানিতে ১৩ বিলিয়ন রুপি (৬০ মিলিয়ন ডলার) বেশি ব্যয় করেছে। তবে ইকবালের এই আবেদন পাকিস্তানের জনগণের ওপর তেমন প্রভাব না পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকজন তার সমালোচনা শুরু করেছে।
পাকিস্তানে এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার পেট্রোলের দাম বাড়ানো হয়েছে। মিফতার মতে, দু’বার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পর পাকিস্তান আর্থিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং তাই অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রয়োজন নেই।
যদিও এক রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের জনগণ প্রচুর মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে। এখানে ৬ দিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। খাদ্য ও পানীয়ের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। মোবাইল থেকে গাড়ি ও অন্যান্য জিনিস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।