সতর্ক থাকুন! করোনা থেকে সেরে উঠলেও আক্রান্ত হতে পারেন সাইটোমেগালো ভাইরাসে

দেশে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তেই বদলে গিয়েছে মানুষের জীবন। ভয় বাড়িয়েছে অক্সিজেন সমস্যা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি তার মধ্যে নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে সাইটোমেগালোভাইরাস। কী…

cytomegalo-virus

দেশে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তেই বদলে গিয়েছে মানুষের জীবন। ভয় বাড়িয়েছে অক্সিজেন সমস্যা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি তার মধ্যে নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে সাইটোমেগালোভাইরাস।

কী এই সাইটোমেগালোভাইরাস?

সুস্থ সবল মানুষের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস খুব বেশি ভয়ের নয়। কিন্তু যাঁদের রোগপ্রতিরোধ শক্তি দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে এই জীবাণু প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। রক্ত, মূত্র, লালারসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মূলত খাদ্যনালীতেই সংক্রমণ ঘটায় এটি। পায়ুদ্বারের কাছে রক্তক্ষরণ হয় এর সংক্রমণের ফলে।

সাইটোমেগালো ভাইরাসের লক্ষণসমূহ কি?

সাইটোমেগালো ভাইরাস একটি সাধারণ ভাইরাস, যা সাধারণত শরীরে সুপ্ত থাকে। তবে কিছু লক্ষণ দ্বারা এটি বোঝা যায় যে আপনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা, ক্লান্তি, জ্বর, ফোলা গ্রন্থিগুলি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। আরও গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, জ্বর, মলদ্বার রক্তপাত এবং ওজন হ্রাস অন্তর্ভুক্ত।

কীভাবে সংক্রমিত হয়?

সংক্রমিত ব্যক্তির লালা, রক্ত, মূত্র, বীর্য, যোনি তরল কিংবা স্তনদুগ্ধের সংস্পর্শে আসার পর, কোনও ব্যক্তি যদি চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি এই সাইটোমেগালো ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে।

এটি করোনা সংক্রমণের সাথে কীভাবে সম্পর্কিত?

গবেষণা বলছে যে, সাইটোমেগালো ভাইরাস মূলত দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বেশি আক্রমণ করে। করোনা ভাইরাসও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের বেশি অ্যাটাক করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমিত রোগী যারা ইমিউনোকম্প্রোমাইজড বা স্টেরয়েড থেরাপিতে ছিলেন এবং কোনও ব্যক্তি অন্তর্নিহিত ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ, যেমন – আলসারেটিভ কোলাইটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের সংক্রমণ হতে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী মহিলা ও সদ্যোজাত শিশুরও এই রোগ হতে পারে। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে যাদের, তাদের ক্ষেত্রেও এই সংক্রমণ হতে পারে।