বাজারের প্রতি মোহ, সোনা আপনার বিকল্প, ২০ গ্রাম সোনায় ২৬,০০০ টাকা লাভ

সোনা (Gold) বরাবরই ঐতিহ্যবাহী বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে ভারতে একে সবসময় কষ্টের সঙ্গী বলা হয়। আমেরিকা, ইউরোপসহ বৈশ্বিক ব্যাংকিং সংকটে শেয়ারবাজারের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

Sovereign gold bond

সোনা (Gold) বরাবরই ঐতিহ্যবাহী বিনিয়োগ হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে ভারতে একে সবসময় কষ্টের সঙ্গী বলা হয়। আমেরিকা, ইউরোপসহ বৈশ্বিক ব্যাংকিং সংকটে শেয়ারবাজারের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এক সপ্তাহে বাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা তলিয়ে গেছে। মানুষ প্রচণ্ডভাবে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এমন সংকটের সময়ে বিনিয়োগকারীরা এখন সোনার দিকে ঝুঁকছেন।

প্রকৃতপক্ষে বাজারের তুলনায় স্বর্ণ শক্তিশালী রিটার্ন দিয়েছে। পরিসংখ্যান সম্পর্কে কথা বললে, এক বছর আগে সোনার দাম যা ছিল ৪৭,৩০০ টাকা মঙ্গলবার তা ৬০,৪৫৫ টাকায় পৌঁছেছে। মানে ১ বছরে প্রায় ১৩,০০০ টাকা লাভ এবং তাও মাত্র ৪৭,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে। একইভাবে, কেউ যদি ২০ গ্রাম স্বর্ণ কিনত, তাহলে সে ২৬,০০০ টাকা লাভ করত।

অন্যদিকে, যদি আমরা শেয়ার বাজারের কথা বলি, এখানে বেচাকেনা প্রাধান্য পাচ্ছে, বিশেষ করে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে বাজারে অনেক পতন হয়েছে। আগে, আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলায়, বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল, এখন ব্যাঙ্কিং সঙ্কট সঠিকভাবে শেষ করেছে। আমেরিকা ও ইউরোপের ব্যাংকিং সংকট এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছে যে মাত্র এক সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের ১১ লাখ কোটি টাকা ডুবে গেছে। বাজারের এই অরাজকতায় রিলায়েন্স, আদানি এন্টারপ্রাইজ, এসবিআই-এর মতো বড় শেয়ারের অবস্থাও খারাপ হয়েছে।

বিশ্বের যে কোনো দেশে যখনই অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, বিনিয়োগকারীরা প্রথমে বাজার থেকে তাদের অর্থ উত্তোলন শুরু করেন। এই সময়ে, বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে শুরু করে। করোনার যুগই হোক বা ২০০৮ সালের বৈশ্বিক মন্দা সংকট, প্রতিবারই সোনায় বিনিয়োগ বেড়েছে, যার কারণে সঙ্কটের সময়ে সোনা-রূপার দাম বাড়তে থাকে। এবারও তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে। ২৪ জানুয়ারির পর পুঁজিবাজারে ভূমিকম্পের পর বিনিয়োগকারীরা অন্য দিকে নজর দিতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে ৮ই মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সোনা ও রূপা বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী রিটার্ন দিয়েছে।