Bangladesh: জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, রোজ রাত ৮টার পর বাজার বন্ধ

সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার জ্বালানি সংকটে নিল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সোমবার রাত ৮টা থেকে দেশটির কোনও বড় দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।…

সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার জ্বালানি সংকটে নিল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সোমবার রাত ৮টা থেকে দেশটির কোনও বড় দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। আলো জ্বালানোর খরচ বাঁচাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তবে যে কোনও জরুরি পরিষেবা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছে না।

বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট কি দক্ষিণ এশিয়ার অপর দেশ শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে যাচ্ছে,এই প্রশ্ন উঠছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার জানিয়েছে, শ্রীলংকার মতো আর্থিক সংকট নেই বাংলাদেশের। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজোড়া জ্বালানি সংকটের ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশে।

সোমবার রাত ৮টা থেকে দোকান বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ কার্যকরী করতে রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বিশেষ বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) ও দোকান মালিক সমিতি সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বৈঠক শেষে জানানো হয়, ২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই রাত ১০টা পর্যন্ত নিয়ম শিথিল করার অনুরোধ আসে। শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনুমতির জন্য পাঠানো হবে।

তিনি জানান, হাসপাতাল, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দর, হোটেল, ওষুধের দোকান, সিনেমা, থিয়েটার, ক্লাব, মিষ্টি ও ফুলের দোকান, বিদ্যুৎ ও গ্যাস অফিস সহ অন্যান্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এই নিয়মের বাইরে থাকবে।

গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মহ. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকের সই করা চিঠিতে রাত আটটার পর সারা দেশে দোকান, শপিং মল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সানুগ্রহ নির্দেশ দিয়েছেন।