পুরভোটে বিরোধী দল হয়ে বিজেপির (BJP) বিপর্যয়কে উটপাখির সঙ্গে তুলনা ও ফাটা ডিমে তা দেওয়ার মতো অবস্থা বলে কটাক্ষ করেছেন তথাগত রায়। শনিবার বিপর্যয় মোকাবিলায় চিন্তন বৈঠকে বিজেপির অভ্যন্তরে পরস্পরকে দোষারোপের পালা চলেছে।
পুরভোটে তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়া ও বঙ্গে বামফ্রন্টের ফের উত্থান কেন এই নিয়ে নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়। বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর সামনেই সাংগঠনিক দুর্বলতার ছবি স্পষ্ট উঠে আসে।
বৈঠকে বিস্ফোরক হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ইঙ্গিত নেতা বাছাইয়ে কোটা সিস্টেম বিপর্যয় ডেকে আনছে। এদিকে পুরনিগম ভোটে চন্দননগরে বিজেপির হাঁড়ির হাল হওয়ায় লকেটকেও কটাক্ষ হজম করতে হয়। হুগলির চন্দননগর পুরনিগমে টিএমসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে সিপিআইএম। সেখানে বিজেপি অস্তিত্বহীন। তবে লকেট আরও বলেন, পুরনো নেতাদের একেবারে সরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হয়নি।
বিজেপির আদি ও নব্য বিবাদ তুঙ্গে গত উপনির্বাচন থেকে। দলের আদি নেতারা বারবার তোপ দাগছেন। চলছে জেলায় জেলায় ভাঙন। লকেট এই দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ এনে বলেন, এই পরিস্থিতি দ্রুত কাটাতে হহে। দেখতে হবে কীভাবে সিপিআইএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসছে।
সূত্রের খবর, দলীয় আলোচনায় নেতাদের ভূমিকা নিয়ে সরব যে যার গোষ্ঠী থেকে। এই আলোচনাকে নরম করতে রেফারি হিসেবে মঞ্চে নামেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, তিনিও কটাক্ষের শিকার হন। পুরভোটে তিনি নিজ এলাকা দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে গো হারা হেরেছেন।
পরমুহূর্তে কটাক্ষ বাণ ছোটে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে। তিনিও পুরভোটে নিজ এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে গো হারা হেরেছেন। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে সন্দেহের কালো মেঘ তৈরি হয়েছে। তিনিও পুরভোটে নিজ এলাকা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে কার্যত সর্বস্য খুইয়েছেন।