নিরিবিলিতে কয়েকদিন কাটাতে চান? ডাকছে সুন্দরী দোবান

উত্তরবঙ্গ মানেই পর্যটকদের কাছে স্বর্গরাজ্য। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এত ঘোরার জায়গা, যে গুণে শেষ করা যাবে না। পাহাড়ের প্রতিটি বাঁক যেন এক অনন্য সৌন্দর্য…

উত্তরবঙ্গ মানেই পর্যটকদের কাছে স্বর্গরাজ্য। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এত ঘোরার জায়গা, যে গুণে শেষ করা যাবে না। পাহাড়ের প্রতিটি বাঁক যেন এক অনন্য সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। এমনই এক জায়গা হল দোবান উপত্যকা। পাহাড়ি অরণ্যের মাঝে এক রূপবতী গ্রাম।

দোবান নামকরণের পিছনে এক অর্থ রয়েছে। এই জায়গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে দুটি নদী। রংপো আর ঋষি। নেপালি ভাষায় ‘দো’ মানে দুই। আর ‘বান’ মানে বন্ধন। তাই এই উপত্যকাকে দোবান নামই দিয়েছে এলাকাবাসী। কালিম্পংয়ে হলেও এই জায়গায় যেতে হলে পূর্ব সিকিম হয়ে যেতে হয়।

কেন যাবেন দোবান?
শহরের কোলাহল থেকে দূরে এক নিরিবিলি জায়গা। চারিদিকে সবুজের সমারহ আপনার চোখকে শান্তি দেবে। অরণ্যের নিস্তব্ধতা আর পাখির কলতান এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে আপনাকে। যাঁরা নীরব পরিবেশে কয়েকদিন কাটাতে চান তাঁরা পাড়ি জমাতে পারেন এখানে। আর রংপো ও ঋষি নদীর পাড় তো রয়েইছে বোনাস হিসাবে। তবে যদি ঘুরতে যাওয়া মানেই একাধিক স্পট দেখার ইচ্ছা থাকে, তবে দোবান আপনার জন্য নয়।

কীভাবে যাবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে এই দোবান উপত্যকা। গাড়িতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। গাড়িতে প্রথমে যেতে হবে রংপো। সেখান থেকে সরাসরি গাড়ি নিতে পারে। আবার সার্ভিস জিপে রেনক যাওয়ার পথে রোরাথাং ব্রিজে নেমেও পড়তে পারেন। তারপর তারপর আপনাকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ নদীর চর ধরে হেঁটে পৌঁছতে হবে দোবান।

কোথায় থাকবেন?
এখনও এখানে হোটেল তেমন গড়ে ওঠেনি। তবে হোম স্টে রয়েছে কিছু। সেখানে নিশ্চিন্তে রাত কাটাতে পারবেন। পাহাড়ি মানুষের আতিথিয়তার তুলনা নেই। এখানেও তার ব্যতিক্রম হবে না।