Pakistan: অনাস্থা নিয়ে ভোটের দিন দলের নেতাদের সংসদে উপস্থিত না হওয়ার নির্দেশ ইমরানের

অনাস্থা ভোট নিয়ে ভয় পাচ্ছেন ইমরান খান তাঁর সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ সেই নির্দেশই করছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের দিন তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই)…

অনাস্থা ভোট নিয়ে ভয় পাচ্ছেন ইমরান খান তাঁর সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ সেই নির্দেশই করছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের দিন তিনি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যদের উপস্থিত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তাঁর তরফে দলকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে পাকিস্তানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে গৃহীত অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পিটিআই সদস্যদের জন্য অ্যাসেম্বলিতে কী করা হবে ও কী করা হবে না তা তালিকা করে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ “কঠোরভাবে” অনুসরণ করার নির্দেশ এসেছে ইমরান খানের তরফে। এই চিঠিতে সই করেছেন ইমরান খান, যিনি পিটিআই দলের চেয়ারম্যান ও সংসদীয় নেতাও।

“পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তেহরিক-ই-ইনসাফের পার্লামেন্টারি পার্টির সকল সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন/ জাতীয় পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না যে তারিখে উল্লিখিত প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদের আলোচ্যসূচিতে সেট করা হবে। ভোটের জন্য বিধানসভা,” এটা বলেছে.

চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কোনো সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের সময় এবং ভোটের দিন পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকবেন না। এই প্রস্তাবের উপর বিতর্ক চলাকালীন মনোনীত সংসদীয় সদস্যরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষে কথা বলবেন। দলের সমস্ত সদস্যদের এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পাকিস্তানের সংবিধানের 63-A অনুচ্ছেদ, 1973-এর বিধানের পিছনে অভিপ্রায়ের কথা মনে রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সংবিধানের 63A অনুচ্ছেদ দলত্যাগের কারণে অযোগ্যতার সাথে সম্পর্কিত।

চিঠিতে এও বলা হয়েছে, কোন সদস্য কোন নির্দেশ লঙ্ঘন করবেন না বা অনাস্থা ভোটের সাথে সম্পর্কিত, অন্য কোন সংসদীয় দল/গোষ্ঠীর প্রতি কোন আগ্রহ দেখাবেন না। যে কোনও নির্দেশ লঙ্ঘন করলে 63-A ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্রেস ডিফেকশন হিসাবে গণ্য করা হবে।

কিছুদিনের মধ্যেই ইমরান খান অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন। বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। শরিফ পাকিস্তানের তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। পার্লামেন্টে ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ইমরান খানকে তার সরকার পতন থেকে বাঁচাতে ১৭২ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে।