হাসপাতালে থাকলে মেরে ফেলা হতে পারে অনুব্রতকে, বিস্ফোরক দিলীপ

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ঘিরে তপ্ত রাজ রাজনীতি। সেইসঙ্গে গরু পাচার মামলাকে ঘিরে রাজ্য বিরোধী তরজা তুঙ্গে। এরই মাঝে অনুব্রতর প্রাণ সংশয় হতে…

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ঘিরে তপ্ত রাজ রাজনীতি। সেইসঙ্গে গরু পাচার মামলাকে ঘিরে রাজ্য বিরোধী তরজা তুঙ্গে। এরই মাঝে অনুব্রতর প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বসলেন স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার যেটা সন্দেহ হয়, ওকে সারাজীবন জেলে থাকতে হবে নয়তো জেলে থাকতে হবে। জেলে থাকলে ঠিক আছে কিন্তু ও হাসপাতালে থাকলে বাঁচতে পারবে না। যে কোনো তথ্য লোপাটের জন্য ওকে মেরে ফেলা হতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনুব্রত একাধিক মামলার সঙ্গে যুক্ত। টিএমসি সরকারের আরো অনেক নেতা মন্ত্রী সেসব মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই একটা চাবিতেই সব জট খোলা যেতে পারে, তাই ওই চাবিটাকেই গুম করে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তাই আমাদের নতুন চিন্তা এটাই যে লোকটা জেলে গেলে অন্তত প্রাণটা থাকবে। এদিকে দিলীপ ঘোষের এহেন চাঞ্চল্যকর মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিশিষ্ট মহলের ধারণা, দিলীপ ঘোষ নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন অনুব্রতর জেলে থাকাই ভালো।

সম্প্রতি আরো এক বিজেপি বিধায়ক এমনই মন্তব্য করেছিলেন। যদিও তাঁর অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছিল শাসক শিবির।

সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ১৭ দিন কাটিয়ে চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফিরেছেন গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তথা বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অণ্ডকোষের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে।

তবে বাড়ি ফিরতেই গরু পাচার মামলা ও ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করে সিবিআই। তবে ফের একবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান।