December suspense: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। সর্বশক্তি দিয়ে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত নিজেদের বাগে আনতে চাইছে শাসক দল, কিন্তু খানিকটা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগ।আর শাসকদলের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্যের বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির রাজনৈতিক টনিক ছিল সোনার বাংলা বানানো থেকে একাধিক ইস্যু।কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে সেই টনিক সাধারণ মানুষকে যে দিতে চাইছে না বিজেপি, তা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের কার্যকলাপ দেখে স্পষ্ট। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বারবার আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতার।আর তারপর থেকে কাকতালীয়ভাবে বিরোধী দলনেতার মুখের কিছু উক্তি প্রভাব ফেলছে রাজ্য রাজনীতিতে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তারিখ তত্ত্ব এবার শিরোনামে।
বিভিন্ন সভা মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতার মুখে শোনা গিয়েছে তিনটি তারিখ ১২,১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর।প্রথম দুটো তারিখ অতিবাহিত হয়ে গেলেও, আগামীকাল শুভেন্দুর একুশে ডিসেম্বর সাসপেন্স।কি হতে চলেছে আগামীকাল? এই নিয়ে এখন চলছে জোর চর্চা। এর আগে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীর গলায় শোনা গিয়েছে ডিসেম্বরে এ রাজ্যের সরকারের পতন ঘটবে।তার পরপরই তিনটি তারিখ প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা।কিন্তু প্রথম দুটো তারিখ সেভাবে প্রভাব ফেলেনি।
পাল্টা ১২ এবং ১৪ ডিসেম্বর খানিকটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে অভিযোগকারী দল বিজেপির। ১২ ই ডিসেম্বর বগটুই কাণ্ডে ধৃত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন,আবার ১৪ ই ডিসেম্বর আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন শিশুর।আর এই নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি শাসক দল।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ, ২১ ডিসেম্বরের ঠিক আগের দিন সাধারণের উদ্দেশ্যে বললেন ‘কাল সবাই সাবধানে ঘর থেকে বেরোবেন,তারিখ দিয়ে মৃত্যুকে ডেকে আনছে বিজেপি, বিজেপির থেকে দূরে থাকবেন’।
অপরদিকে শুভেন্দু কুনালের আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিআইএম। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায় ‘সব বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে নিজেদের মধ্যে।
কিন্তু এসবের পরেও কি হতে চলেছে আগামীকাল?আরো কোনো দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসবে নাকি ১২,১৪- র মতো আবারো কোন অস্বস্থিতে পড়বে বিজেপি? তা সময়ই বলবে