প্রেমেন্দ্র মিত্রের বীরপুরুষের মতো কেষ্ট: মমতা

গোরু পাচার মামলায় বীরভুম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার ঠিকানা এখন আসানসোলের সংশোধনাগার। যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সম্পত্তির হদিশ সিবিআই…

গোরু পাচার মামলায় বীরভুম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার ঠিকানা এখন আসানসোলের সংশোধনাগার। যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সম্পত্তির হদিশ সিবিআই পাচ্ছে, তাতে চাপ বাড়ছে কেষ্টর। কিন্তু কেষ্টর উদ্দেশ্যে বারবার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুঝিয়েছেন তিনি কেষ্টর পাশে রয়েছেন। এবার বিধানসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তিনি কেষ্টর পক্ষে।

Advertisements

এর আগে নেতাজী ইন্ডোরের দলীয় সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। সোমবার বিধানসভায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখছিলেন, তখন কেষ্ট বীর কেষ্ট বীর বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রেমেন্দ্র মিত্রের বীরপুরুষের কবিতার কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকার ক্রীতদাস নয়, স্বাধীনচেতা সরকার। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার। চোরের মায়ের বড় গলা। চোরেরা যখন গেরুয়া সেজে বসে থাকে, তখন মনে হয় কী দেশ ছিল, কী দেশ হল। কেষ্ট বীর পুরুষ অবশ্যই। বীরপুরুষ প্রেমেন্দ্র মিত্রের কবিতা।

এরপরেই বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, শুধু সব জায়গায় গিয়ে ভয় দেখান, দেখে নেবেন। ২০২৪ সালে একেবারে যাবেন। ডুবু ডুবু হচ্ছে দেশ। এই প্রস্তাবের কারণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা। কারও বিরুদ্ধে বলা নয়। নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, যাঁরা গেরুয়া পড়ে এসেছেন, তাঁদের বাড়ি রেইড হোক। টাকার পাহাড় বেরোবে।

এর আগে নেতাজী ইন্ডোরের কর্মীসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। বীরের সম্মান দিয়ে ওকে জেল থেকে বের করে আনবেন। এই মানসিকতায় তৈরি থাকুন। বীরভূম জেলা হারতে জানে না। হারতে শেখেনি। মমতার সেই বার্তায় অনেকটা চাঙ্গা হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন বিধানসভায় অনুব্রতর কথা উল্লেখ করে ঘনিষ্ঠের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ইডি ও সিবিআইয়ের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। নন্দীগ্রাম, নেতাই, তাপসী মালিক এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির তদন্ত নিয়েও সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।