China: মাও-জিনপিং একাসনে! চিনে ফিরছে বিখ্যাত ‘চেয়ারম্যান’ পদ

বিশতম দলীয় সম্মেলনে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি (CPSU) থেকে সংস্কার-মূল্যায়ন করেছিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ।  এর পর থেকে  সোভিয়েতের চূড়ান্ত উন্নতি হয়েছিল। তবে সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বাড়ে। সেই…

বিশতম দলীয় সম্মেলনে সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টি (CPSU) থেকে সংস্কার-মূল্যায়ন করেছিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ।  এর পর থেকে  সোভিয়েতের চূড়ান্ত উন্নতি হয়েছিল। তবে সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বও বাড়ে। সেই সোভিয়েতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আসে (China) চিন। এবার সেদেশের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাদের বিশতম পার্টি কংগ্রেসে (CPC) বড়সড় সংস্কার আনতে চলেছে বলেই ইঙ্গিত আসছে। কুড়ির গেরো বড় গেরো। লাগলে ছক্কা না লাগলে ফক্কা!

জানা যাচ্ছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের ২০তম সম্মেলনে ফের ফিরিয়ে আনছে পুরনো ‘চেয়ারম্যান’ পদটি। এই রাজনৈতিক পদের সর্বশেষ পদাধিকারী ছিলেন মাও সে তুং। ১৯৭৬ সালে তিনি প্রয়াত হওয়ার পর এই পদ আর সাংগঠনিক কাঠামোতে রাখা হয়নি। বলা হয় পদটি সংরক্ষিত করা আছে। সেই পদে জিনপিং? উঠছে প্রশ্ন। তবে চিনের ক্ষমতায় থাকা দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি নীরব।

China jinping

এদিকে বিশ্ব জুড়ে আলোচনা, চিনের কমিউনিস্ট  পাটির চেয়ারম্যান পদটি ফের ফিরতে চলেছে। এই পদে মাওয়ের পর জিনপিং বলবেন। মাওয়ের প্রভাবের পর চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ ছিল সর্বোচ্চ। ধারণা করা হচ্ছে,  প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে চলেছে চিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাওয়ের জায়গায় জিনপিংকে আনতে চলেছে চিন।

বিবিসির খবর, আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বেজিংয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্চির ২০তম জাতীয় কংগ্রেস হবে।  বসতে চলেছে। এই সম্মেলনেই চিনের ক্ষমতায় আরো জাঁকিয়ে বসতে চলেছেন জিনপিং। এতদিন একজন প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ দু’বার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারতেন। সেই নিয়ম ভেঙে জিনপিংকে তিনবার টানা ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে চিনের অভ্যন্তরে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে জিনপিং বিরোধী গোষ্ঠিকে সমূলে উৎখাত করার চেষ্টা চলছে বলেই খবর। সম্প্রতি চিনের অভ্যন্তরে যে সেনা অভ্যুত্থানের বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছিল তাতে চমকপ্রদ বিষয় ছিল জিনপিংকে গৃহবন্দি করে ক্ষমতার পালাবদল ঘটিয়েছে চিনের সেনা। তবে চিনের ক্ষমতায় আছেন জিনপিং। তিনি এবার মাওয়ের সঙ্গে একইভাবে উচ্চারিত হবেন। টানা গৃহযুদ্ধ ও জাপানের সঙ্গে সংঘর্ষের পর মাও সে তুং চিনের ক্ষমতায় আসেন। কমিউনিস্ট পার্চির নেতৃত্বে চিন স্বাধীনতা অর্জন করে।