প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও প্যাংগং হ্রদের উপর সেতু তৈরি করছে China, ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৪ টি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। কমান্ডার পর্যায়ের প্রতিটি বৈঠকেই…

লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার সমস্যা মেটাতে ভারত ও চিনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৪ টি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। কমান্ডার পর্যায়ের প্রতিটি বৈঠকেই চিন সীমান্ত থেকে সেনা সরাবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তারা সরায়নি। এরইমধ্যে উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট ধরা পড়ল, চিন পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের উপর ৪০০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতুর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে। প্রবল শীতের মধ্যেই চূড়ান্ত তৎপরতার সঙ্গে চলছে শেষ সেতু প্রস্তুতের শেষ মুহূর্তের কাজ।

প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত জুড়তে দীর্ঘ ৪০০মিটার লম্বা ও ৮ মিটার চওড়া এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সেনা অনেক সহজেই এগিয়ে আসতে পারবে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে চিনের লাল ফৌজের অবস্থানগত সুবিধা আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতায় নোনাজলের এই হ্রদ প্রায় ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত। এর এক তৃতীয়াংশ ভারতের মধ্যে পড়ে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ফিঙ্গার-৮-এর কাছেই এই সেতু তৈরি করছে চিন। চলতি মাসের ১৬ তারিখে ম্যাক্সার উপগ্রহের মাধ্যমে তোলা চিত্রে দেখা গিয়েছে, ক্রেন ব্যবহার করে সেতুর স্তম্ভ নির্মাণের কাজ চালাচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও শ্রমিকরা সেতু তৈরির কাজ করে চলেছেন। সবকিছু ঠিক মত চললে কয়েক মাসের মধ্যেই এই সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে তিব্বতের বিতর্কিত এলাকা রুতোগের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে লাল ফৌজ। পাশাপাশি প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত জুড়ে গেলে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত বিতর্কিত ৮ কিলোমিটার এলাকায় লালফৌজ সহজেই নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে পারবে। ফিঙ্গার- ৮ কে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে ধরে থাকে। চিন মনে করে, ফিঙ্গার-৪ পর্যন্ত তাদের ভূখণ্ড। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লালফৌজের যে লড়াই হয়েছে তা সবই এই বিতর্কিত এলাকায়।

প্যাংগং হ্রদের উপর এই সেতু তৈরির কড়া সমালোচনা করেছে দেশের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সেতু তৈরি সম্পূর্ণ বেআইনি। গায়ের জোরে দখল করা জায়গায় এই সেতু তৈরি করছে চিন। ভারত কখনওই এই ধরনের কাজ মেনে নেবে না।