S-400 Missile : পাকিস্তানকে টেক্কা দিতে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে দুর্ধর্ষ মিসাইল

যত সময় এগোচ্ছে ক্রমশই নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারকে সুসজ্জিত করার কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশ থেকে কিনছে মিসাইল, ট্যাঙ্ক। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের অন্যতম…

S-400 Missile

যত সময় এগোচ্ছে ক্রমশই নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারকে সুসজ্জিত করার কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন দেশ থেকে কিনছে মিসাইল, ট্যাঙ্ক। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের অন্যতম অন্তর্ভুক্তি শক্তিশালী মিসাইল এস-৪০০ মিসাইল (S-400 Missile)।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই চর্চায় ছিল এস-৪০০। পাকিস্তানের সামরিক বিভাগও জানে ভারতের এই নবতম সংযোজনের কথা। এস-৪০০ সিস্টেমটি স্থল পথের পাশাপাশি আকাশ পথেও সমান ভয়ানক। লক্ষ্যভেদ করে সক্ষম যে কোনো পরিস্থিতিতে। সিস্টেমটি বিমান, ইউএভি , ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে জানা গিয়েছে৷

পাকিস্তান সেনার কাছে যে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এটি। মিসাইল লঞ্চ করার আগে শুধু টার্গেট সেট করার অপেক্ষা। বাকি কাজ নিজে থেকেই করতে সক্ষম এই আধুনিক অস্ত্র। এটি  ৪০ কিলোমিটার রেঞ্জের 9M96E, ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের 9M96E2, ২৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের 48N6 এবং ৪০০ কিলোমিটার রেঞ্জের 40N6E ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য বর্তমান।

যে কোনো টার্গেটে আঘাত হানতে কার্যকর এই মিসাইল আকাশ পথে সবথেকে বেশি কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত- পাকিস্তান সীমানা সুরক্ষায় আগামী দিনে বড় ভূমিকা নিতে পারে এস-৪০০। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ডগলাস ব্যারি জানিয়েছেন, ‘S-400 ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করবে  অপারেশনাল এলাকায় সংশ্লিষ্ট রাডারগুলির অধিগ্রহণের রেঞ্জ, সিস্টেমটিকে কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে কর্মীদের ক্ষমতা এবং পদক্ষেপের উপর।’ অর্থাৎ, এই সিস্টেমকে কে, কীভাবে ব্যবহার করবেন, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে ব্যবকারীকে। আপাতত এই ভারতীয় বায়ু সেনার তত্বাবধানে রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।