কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রয়েছে অসঙ্গতি: CBI

ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রয়েছে অসঙ্গতি দাবি সিবিআই-এর। গত ১৩ মার্চ পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন…

CBI

ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রয়েছে অসঙ্গতি দাবি সিবিআই-এর। গত ১৩ মার্চ পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। বারংবার কাউন্সিলর খুনের তদন্তের জন্য সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি করেছিল পরিবার। এমনকি ঝালদা থানার এসআইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিল পরিবার। অবশেষে হাইকোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এরপরই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সামনে আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। গ্রেপ্তার হয়েছেন তপন কান্দুর পরিবারের দুই সদস্য।

এমনকি শার্প শুটারের খোঁজ চালিয়ে বের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর পরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে নতুন তথ্য সামনে এল। যেখানে জানা গিয়েছে, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রয়েছে অসঙ্গতি। প্রসঙ্গত, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় তদন্ত ভার সিট থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানেই তদন্ত করতে গিয়ে দেখে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রয়েছে অসঙ্গতি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলছে না।

   

১৩ মার্চ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু সিবিআই জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছিল, গুলি ডান দিক দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বেরোনোর কথা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গুলি বা দিক দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়েছে। একইসঙ্গে সামনে এসেছে তপন কান্দু খুনের কয়েক মুহূর্ত আগের একটি সিসিটিভি ফুটেজ। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খুনের সময় তপন কান্দু বাগমুন্ডি থেকে ঝালদার দিকে ফিরছিলেন। রাস্তার ধারে ছিলেন তপন কান্দুর বন্ধু যাদব রজক। আর তাঁর পাশে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর। দুষ্কৃতীরা উল্টোদিক থেকে বাইকে চড়ে এসে গুলি চালায়। এই হিসাব অনুযায়ী গুলি শরীরের ডান দিক দিয়ে ঢুকে বাঁ দিক দিয়ে বেরোনোর কথা।

অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে গুলি বা দিক দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করে নেন, তার ভুল হয়েছে। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয় যে রাতারাতি যেন সংশোধন করা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। আর এরপরই উঠছে প্রশ্ন। এত বড় ভুল রাজ্য পুলিশের সিটের নজরে এড়াল কিভাবে? তাহলে এতদিন ধরে পুলিশ কি তদন্ত করছিল?