শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে গলা ডুবিয়েছে তৃণমূল৷ নাম জড়িয়েছে দুই মন্ত্রীর। এরই মধ্যে একজন রয়েছেন ইডির হেফাজতে৷ মেয়ের চাকরীর জন্য রোজ ইডি, সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন অপর জন৷ নিজের লেটারপ্যাডে চাকরির জন্য সুপারিশ করার কারণে নাম জড়িয়েছে বহু তৃণমূল নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীদের। প্রতিদিন পিঁয়াজের খোসার মতো বের হচ্ছে এই দুর্নীতির রহস্য৷ প্রতিদিন এই ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে চড়াচ্ছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা৷ তবে ভয় তাঁদেরও রয়েছে৷
সূত্রের খবর, অতীতে তৃণমূল ও আধুনা বিজেপি, এধরনের বহু নেতাদের নাম শিক্ষক দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ শুধুমাত্র শিক্ষক দুর্নীতি নয়, একাধিক সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু বিজেপি নেতাদের নাম জড়ানোর প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটা অনেকটাই স্পষ্ট।
কারণ, বিধানসভার কক্ষেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেছে মেদিনীপুরের চাকরি কী ভাবে নিয়ে গিয়েছ আমরা জানি, পুরুলিয়ার চাকরি কী ভাবে মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়েছিলে?’ শুভেন্দুকে ‘দাদামণি’ বলে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দাদামণি আপনি যাদের চাকরি দিয়েছিলেন, তাদের চাকরিও থাকবে তো? আমরা জানি দাদামণি জবাব দেবেন? সরকারে থেকেও করে খাবেন, বিজেপিতেও করে খাবেন? মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে সামনে রেখে আগামী দিনে তদন্ত করুক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। চায় তৃণমূল।
এখানেই শেষ নয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা সুমিত রঞ্জন কাঁড়ার। বিধানসভা নির্বাচনে উদয়নারায়নপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি৷
তৃণমূলের বক্তব্য, কেন একই ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ হঠাৎ করে ইডির এত তৎপরতার মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা৷ তবে এটাও এটাও কী সারদা-নারদা, অথবা নোবেল উদ্ধারের মতো শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সংস্থার তালিকাতেই যুক্ত হবে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।