BJP: দিলীপের কপাল ‘ফাটিয়ে’ বঙ্গ বিজেপি সভাপতির পথে শুভেন্দু

বঙ্গ-বিজেপিতে (BJP) আবারো পালাবদলের ইঙ্গিত। পাল্টাতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞতার কারণে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে সুকান্ত মজুমদারকে নাপসন্দ দলীয় নেতাদের একাংশের। এই…

Suvendu Adhikari

বঙ্গ-বিজেপিতে (BJP) আবারো পালাবদলের ইঙ্গিত। পাল্টাতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞতার কারণে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে সুকান্ত মজুমদারকে নাপসন্দ দলীয় নেতাদের একাংশের। এই পরিস্থিতিতে ফের দিলীপ ঘোষ পদটি পেতে সক্রিয় হচ্ছেন বলেই খবর। তবে দৌড়ে আছেন বিরোধী দলনেতা শুভেম্দু অধিকারী।

বিধানসভা ভোটের পর থেকে ক্রমাগত হার ও সিপিআইএমন শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের আলোচনা বিরোধী দল হলেও বিজেপি তেমন সরব নয়। বরং বাম শিবির নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে মূল বিরোধী ভূমিকা। আর জেলায় জেলায় বিজেপি বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । এই অবস্থায় বঙ্গ-বিজেপির রাশ ধরতে রাজ্যে বিরাট বদল আনতে চায় দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতারা। 

সূত্রের খবর, চলতি বছরেই রাজ্য সভাপতির পদে আসীন হতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লি এবারও দিলীপের জন্য ঝাঁপি উপুড় করলনা বলেই খবর আসছে।

এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদাসীন ছিলেন মমতা ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। সামলে চলেছেন বিরোধী দলনেতার পদ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও রাজ্যজুড়ে বেড়েছে শুভেন্দুর গ্রহণযোগ্যতা এমনই মনে করছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি পদে আনতে চায় বিজেপি। 

শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হলে সেক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা পদ সামলাবেন মনোজ টিগ্গা বলেই জানা যাচ্ছে। আর সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, তাঁকে সংসদীয় কোনও পদে নির্বাচিত করা হতে পারে। 

বিজেপির তরফে নতুন পর্যবেক্ষক-সহ বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি পদে নির্বাচিত করার বিষয়টি সেরে ফেলেছেন বলেই খবর । এখন শুধুমাত্র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে গেরুয়া শিবির। 

গত বছরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এরপর রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি নিয়ে দলের মধ্যেই ক্রমশ ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এমনকি বিরোধী দল হিসাবে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই বারবার রাজ্যের নেতাদের কাছে তাঁরা উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।

কেন্দ্রীয় নেতাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে পরাজিত করতে হলে শুভেন্দুর মতো জনপ্রিয় নেতাকেই সামনে আনতে চান তাঁরা।

সেক্ষেত্রে প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের গুরুত্ব বাড়িয়ে সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সঙ্গে আর কী বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে সেই আলোচনা তুঙ্গে। বিজেপির ভিতরে আলোচনা দিলীপের ‘ফাটা কপাল’।