রাজ্যে ফের কমছে BJP বিধায়ক, মুরলীধরের নেতারা কড়ি গুণছেন

সবই ঠিক করছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর ইশারা পেলেই ছেলে সহ কজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাবে তা জানতে কড়ি গুণছেন মুরলীধর সেনের বঙ্গ…

সবই ঠিক করছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর ইশারা পেলেই ছেলে সহ কজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাবে তা জানতে কড়ি গুণছেন মুরলীধর সেনের বঙ্গ বিজেপির (BJP) কেষ্টবিষ্টুরা।

বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ৭০ থেকে ৬৯ হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা৷ কিন্তু ৬৯ সংখ্যাটি যে কোনও সময় আরও কমে যাবে এমন সম্ভাবনা প্রবল। এমনই আশঙ্কা নিয়ে মঙ্গলবার এনডিএ তরফের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর ভোট চাওয়ার কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলীয় বিধায়কদের চিঠি পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে একজন পাননি চিঠি। তিনি ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিং।

   

পবনের বাবা অর্জুন সিং কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে ফে যোগদান করেছেন তৃণমূলে। কিন্তু ছেলে পবন এখনও বিজেপির বিধায়ক। তিনি একপ্রকার তৃণমূলেই চলে গেছেন। পুরো উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে যতটুকু বিজেপি ছিল তাও শেষ। গত পুরভোটের ফল বলে দিচ্ছে, অর্জুন সিং তখন বিজেপিতে থাকলেও তেমন কিছু করতে পারেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের দাপটে তিনি জমি হারাচ্ছিলেন। পুরভোটে এই শিল্পাঞ্চলেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে উঠে এসেছে সিপিআইএম। দলটির শ্রমিক সংগঠন সিটুর নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি দেখা গিয়েছে।

অর্জুন সিং ও পবন সিং বিজেপির বিভিন্ন বিধায়কদের ভাঙিয়ে আনতে ঝাঁপ দিয়েছেন বলে বিজেপির অন্দরে খবর। ফলে মঙ্গলবার কলকাতায় এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর বৈঠকে বিজেপির তরফে ডাকা হল না ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংকে।বিজেপি সূত্রে খবর, বাবার দলবদলের পর তৃণমূলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছেন পবন সিং।

সাংসদ অর্জুন সিং দলবদলের পর জানিয়েছিলেন, বহু নেতারা তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রেখেছে৷ কিন্তু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে কোনও বিধায়ক বা সাংসদদের হারাতে চায় না গেরুয়া শিবির। দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গের তরফে রাজ্য নেতৃত্বকে এবিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। বারবার রাজ্য সফরে এসে সেটাই বুঝিয়ে গেছেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ এর পরেও থাকছে ভাঙন আতঙ্ক।