মহুয়া মৈত্রকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে সরব বিজেপি, আর নূপুর অধরা

কালী তথ্যচিত্র বিতর্কে দেবীকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত। এই অভিযোগে সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিতে এবার পথে নামল বিজেপির মহিলা মোর্চা।…

কালী তথ্যচিত্র বিতর্কে দেবীকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত। এই অভিযোগে সাংসদকে গ্রেফতারের দাবিতে এবার পথে নামল বিজেপির মহিলা মোর্চা। যদিও হজরত মহম্মদ সম্পর্কে মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবল ক্ষোভের মধ্যেও হিন্দুত্ববাদী নেত্রী নূপুর শর্মাকে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করতে পারছেনা।

নূপুর বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আপাতত তিনি দল থেকে সাসপেন্ড। আর তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে।

বুধবার বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বউবাজার থানায় মোট ৫৬ টি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে এদিন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তনুজা চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ বিকেলে ‘কমপ্লেন নম্বর’ দেবে বলেছে। আমরা তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। আশা করি, পুলিশ কাজ করবে। তা নাহলে আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলনে নামব।

অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, মা কালী সম্পর্কে কিছু না জেনে বিরূপ মন্তব্য করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এমনকি অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে, বাংলায় ধর্মের নামে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশের তরফে কিন্তু পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা।

মহুয়া মৈত্র ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আমি নিজে কালী ভক্ত। আমি কিছুকেই ভয় পাই না। আপনাদের পুলিশ, আপনাদের গুণ্ডাদের কেও পাইনা ভয়। সত্যিকে কোনভাবেই চেপে রাখা সম্ভব নয়।

পরিচালক লীনা মণি মণিমেকলেইয়ের নয়া তথ্যচিত্র ‘কালী’ একটি তথ্যচিত্র। তার পোস্টারকে ঘিরে বিতর্ক। একটি অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন,আমার কাছে কালী এমন একজন দেবী যিনি মাংস ও মদ খান।

তহে সাংসদের মন্তব্যকে মোটেই আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসকে ট্যুইটারে আনফলো করেছেন তিনি। ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগামীতেও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে চলেছে।