Bikash suggest Bratya: ব্রাত্য বসু নাটক করুন, সুকন্যার নিয়োগ নিয়ে তীব্র আক্রমণে বিকাশ

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসক দল। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন কারাবাসে৷ আদালতের নির্দেশে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যার চাকরি গেছে। সম্প্রতি বেআইনি নিয়োগে…

Bikashranjan Bhattacharya suggest bratya basu

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত শাসক দল। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন কারাবাসে৷ আদালতের নির্দেশে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যার চাকরি গেছে। সম্প্রতি বেআইনি নিয়োগে নাম জড়িয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল ও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপি(আই)এমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikashranjan Bhattacharya)।

কলকাতা ২৪x৭ কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডল অথবা পরেশ অধিকারীর মেয়ে বিষয় নয়। গোটা নিয়োগ পদ্ধতিটাই দুর্নীতিগ্রস্থ। এই দুর্নীতিটা নিয়ন্ত্রণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সেটা প্রকাশ্যে আসা উচিত৷ এজন্য দু চার জন অনুব্রত বা পরেশক অধিকারীকে বলির পাঁঠা করার প্রয়োজন নেই। আসল অপরাধীকে ধরার জন্য তদন্তকে সঠিক পরিচালিত করতে হবে”৷

অনুব্রত মণ্ডলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে আদালতের কাছে হলফনাম জমা দিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। সেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, সুকন্যার নিয়োগের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত অনিয়ম হয়েছে। এই অভিযোগ সম্পর্কে অবগত নন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ তা নিয়ে সরাসরি ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বাম নেতা। তিনি বলেন, “মন্ত্রী না থেকে ওরা বরং নাটক করুক৷ সেটা ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “মন্ত্রী হলে তাঁকে তাঁর দফতরের সমস্ত খবর রাখতে হয়৷ এটা বহুদিন থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, উনি যদি সৎ হতেন, এবিষয়ে তিনি তদন্ত করতেন। এখন যখন ধরা পড়ে গেছেন তখন জানতাম না। এই কথাগুলো হচ্ছে গভীর অপরাধীদের একটা মুখোশ মাত্র। উনিও অপরাধী৷ অপরাধ স্বীকার করে পদত্যাগ করুন। তবে নৈতিকতার প্রতি সামান্য সম্মান দেওয়া হবে”।

অন্যদিকে, নিয়োগ নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সরকারের তরফে সদর্থক ভূমিকা না নেওয়ায় সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। তা নিয়েও সরকারকে কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। সিপি(আই)এমের সাংসদের কথায়, ” এটা দূর্ভাগ্য৷ একটা সরকার নিয়ম মেনে নিয়োগ করবে। সে নিয়োগ নিয়ম মেনে নিয়োগ করার পরিবর্তে যারা আন্দোলন করছে, তাঁদেরকে শান্ত করার জন্য কথা বলছেন৷ এটা তো আরও একটা দুর্নীতি”৷

বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, “চাকরি প্রার্থীরা কী শুধুমাত্র কয়েকজন? যারা আন্দোলন করছে? হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লোক আবেদন করেছে৷ মাথাটাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, যখন মাথাটাই দুর্নীতিতে পচে যায়, তখন অঙ্গপ্রতঙ্গ নড়াচড়া করে লাভ নেই”।