Bangladesh: পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সংক্রমণে চিন্তিত শেখ হাসিনা সরকার, লকডাউন?

প্রতিবেশি ভারতে করোনার অঘোষিত তৃতীয় ঢেউ চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। আর পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগজনক। সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকার একগুচ্ছ…

প্রতিবেশি ভারতে করোনার অঘোষিত তৃতীয় ঢেউ চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। আর পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমণ রীতিমতো উদ্বেগজনক। সীমান্তের ওপারে পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকার একগুচ্ছ বিধিনিষেধ ফের আরোপ করল।

বাংলাদেশেও ফের করোনা সংক্রমণের গতি বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাতেই সংক্রমণ সর্বাধিক। পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন খুলনা, রাজশাহি, রংপুর বিভাগগুলির পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এই বিভাগগুলিতেই বিভিন্ন সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী বেশি।

মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যদি কারোর টিকা না নেওয়া থাকে সেই ব্যক্তি কোনও রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারবেন না। মাস্ক ব্যবহার না করলে জরিমানা ধার্য হবে।

পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের জেরে ফের আরোপিত হয়েছে বিধিনিষেধ। বাংলাদেশেও পরিস্থিতি বিচার করে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করার কথা চিন্তা করছে শেখ হাসিনার সরকার। জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করা হবে।

বাড়তে থাকা সংক্রমণের কারণে পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে। 

বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আমরা সারাক্ষণই করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি আমাদের মনে হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ক্লাস কমাতে হবে, কমিয়ে দেব। করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হবে।

দীপু মনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মার্চ মাসে এদেশে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তাই মার্চ মাস না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা বোঝা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমরা সংক্রমণ কম রাখতে পারব। এরইমধ্যে কয়েকজনের দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তাই আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। 

মার্চ-এপ্রিলে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মহম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা পর্যায়ে হাসপাতালের পুরো প্রস্তুতি জানুয়ারিতে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সোমবার পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৪০ জন।