CBI: উপনির্বাচন মিটলেই ‘সুস্থ’ হবেন অনুব্রত, সিবিআই কী করবে?

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী ১২ এপ্রিল। এই ভোটের আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা দেখার মতো। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, উপনির্বাচন…

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী ১২ এপ্রিল। এই ভোটের আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা দেখার মতো। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, উপনির্বাচন মিটলেই সিবিআই (CBI) তৎপরতা কমে যাবে।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঠিক আগেই দিল্লিতে হাজিরা দিতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নির্দেশ দিয়েছে ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের নয়ছয় পরিস্থিতি। এর তদন্তে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট চায় আগামী ১১ এপ্রিল মলয় ঘটক যেন দিল্লিতে হাজিরা দেন। ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন। আসানসোল পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মলয় ঘটকের হাতে দলকে জেতানোর ভার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পশ্চিম বর্ধমান জেলা টিএমসির অন্দরমহলের খবর, ভোট মিটলেই চুপ করে যাবে ইডি। নেহাতই ভোটের আগে হাওয়া গরম করতে চাইছে বিজেপি। তবে মলয় ঘটক হাজিরা দেবেন কিনা তা জানা যায়নি। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, ভোটের দিন ‘দাদা’ আসানসোলেই থাকবেন।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র পরপর দুবার বিজেপির দখলে। দল ও সাংসদ পদ ছেড়ে বাবুল সুপ্রি়য় টিএমসিতে সামিল হয়ে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হবার উপনির্বাচনে লড়াই করছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বালিগঞ্জে হচ্ছে ভোট।

এদিকে সিবিআই চায় গোরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে। তবে জেরার আগেই অনুব্রত ফের অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। সূত্রের খবর, আসন্ন উপনির্বাচনের আগে কোনওভাবেই অনুব্রত সিবিআই মুখোমুখি হতে চাননা। তবে তিনি আ়ইনজীবী মারফত সিবিআইকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তারা।

সূত্রের খবর, সিবিএসই চাইছে হাসপাতালে গিয়েই একবার সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে। সঙ্গে থাকবে তাদের চিকিৎসকরা। কিন্তু অনুব্রত অসুস্থ বলেছেন চিকিৎসকরা। সিবিএসই এরপর কতটা ঝুঁকি নেবে তাও আলোচিত।

তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন, উরনির্বাচন মিটলেই সুস্থ হবেন কেষ্টদা, তবে এর পর আর সিবিআই ততটা তৎপরতা দেখাবে না। সবই ভোটকে সামনে রেখে করা হচ্ছে।

বিরোধী দল বিজেপির দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করলেই কয়লা, বালি ও গোরু পাচার সংক্রাম্ত কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সূত্র মিলবে।

সিপিআইএমের দাবি, বগটুই গ্রামের গণহত্যার পিছনে আছে বালি ও কয়লা পাচার। সেই অবৈধ লেনদেনের বখরা নিয়ে খুন ও তার জেরে গণহত্যা সংঘটিত হয়। এর পিছনে অনুব্রত মণ্ডল জড়িত।