জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নিয়েই বাংলাদেশে (Bangladesh) শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব (Durga Puja)। ঢাকা,চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা সব সর্বত্র পালিত হচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশে ষষ্ঠির দিন হয় আগমণী শোভাযাত্রা। প্রতিটি শোভাযাত্রায় ছিল কড়া নিরাপত্তা।
- জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে।
- অন্তত ৫০ জন জঙ্গি তৈরি হয়েছে হামলার জন্য।
- প্রতিটি মণ্ডপে সিসিটিভি রাখতে হবে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। তিনি বনেন, বাংলাদেশে দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসব। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য। আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশে আমরা সব ধর্মীয় উৎসব একসঙ্গে পালন করি। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
গতবছর বাংলাদেশে দুর্গাপূজা ঘিরে ধর্মীয় গুজবের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক হামলায় ছিল রক্তাক্ত পরিবেশ। কুমিল্লায় একটি দুর্গা পূজামণ্ডপে কোরান রেখে গুজব ছড়ানো হয়। তার জেরে শুরু হয় হামলা। আক্রান্ত হন সংখ্যালঘুরা। পুলিশের গুলিতে কয়েকজন হামলাকারী মারা যায়। এই ঘটনার পর এবার বাংলাদেশ জুড়ে সব পূজামণ্ডপে পুলিশ পাহারা থাকছে। সিসিটিভি রাখা হয়েছে।