Sevoke Tunnel: উত্তরকাশীর ধস-আতঙ্ক নিয়েই সেবক টানেলে বড় সাফল্য

পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে হু হু করে ঢুকবে ট্রেন। সেই কাজে বড়সড় সাফল্য পেলেন আলোচিত সেবক টানেল তৈরিতে যুক্ত শ্রমিকরা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সেবক থেকে সিকিমের…

Sivok-Rangpo Tunnel

পাহাড়ি রাজ্য সিকিমে হু হু করে ঢুকবে ট্রেন। সেই কাজে বড়সড় সাফল্য পেলেন আলোচিত সেবক টানেল তৈরিতে যুক্ত শ্রমিকরা। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার সেবক থেকে সিকিমের রাংপো পর্যন্ত রেল প্রকল্পের (Sevok–Rangpo Rail Project) টানেল নম্বর T-01 এর কাজ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত অ্যাডিট টানেলে খননের কাজ সফল। তবে প্রতিমুহূর্তে ভয়, যদি উত্তরকাশীর মতো পরিস্থিতি হয়। উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা টানেলে ধস নেমে ১৬দিন শ্রমিকরা আটকে ছিলেন। উত্তরকাশীর মতো দার্জিলিং জেলার সেবকেও পাহাড় কেটে টানেল তৈরিতে বিপদ হবে এমন সতর্কতা দিয়েছেন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞরা। সেই ভয় নিয়েই কাজ চলছে।

জানা গিয়েছে, সেবক-রংপো রেলপথে মোট ১৪টি টানেল হবে। তার মধ্যে এই ১১ নম্বর টানেলের উদ্বোধন হল এদিন। এই নিয়ে মোট ছ’টি টানেলের উদ্বোধন হয়েছে। এখনও বাকি আটটি। আগামী বছর থেকে এই রেলপথ চালু করা যাবে বলে আশাবাদী রেল।পাহাড় কেটে ৩৯ কিলোমিটারের এই রেলপথে মোট ১৪টি টানেল বানানো হবে। প্রথম পর্যায়ে এই রেলপথ সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত যাবে এবং পরবর্তীতে রংপো থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১১ নম্বর টানেলটি বানাতে আড়াই বছর সময় লেগেছে। এদিন টানেলের কাজ শেষ করে বেসরকারি সংস্থা তা রেলের হাতে তুলে দেয়। এ প্রসঙ্গে ডিআরএম ডি কে সিং বলেন, ‘‘বাকি ৮টি টানেলের কাজও দ্রুত গতিতে হচ্ছে।আশা করছি, ২০২৪-র মার্চের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।’’

খরস্রোতা তিস্তা নদী এবং ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাহাড়ের ঢাল ধরে গিয়েছে এই রেললাইন। পথে সুড়ঙ্গের পাশাপাশি রয়েছে ২৮টি সেতুও। এই রেলপথ নির্মাণ পর্বে বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত তিন বছরে কাজের সময়ে নানা কারণে ধস নেমে ছ’জন শ্রমিক মারা যান। আহত হয়েছেন অনেকে। যদিও নির্মাণ সংস্থার যুক্তি, ভারী বৃষ্টি এবং কিছু অসাবধানতার জন্য দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রকল্পের ক্ষতি হয়নি।কিন্তু পরিবেশবিদদের মত, এই ধরনের প্রকল্পের জেরেই পাহাড়ি এলাকায় ধসের মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।