Malware : প্রশ্নের মুখে ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত ডিজিটাল ভারত

দ্রুত হচ্ছে দেশ। অফলাইনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন। ডিজিটাল হচ্ছে ভারত। নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও জর্জরিত ভারত। প্রথম সারির দশটি ইন্ডাস্ট্রি ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত। চিন্তা বাড়াচ্ছে…

digital-india-hit-by-malwar

দ্রুত হচ্ছে দেশ। অফলাইনকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন। ডিজিটাল হচ্ছে ভারত। নিরাপত্তা প্রসঙ্গেও জর্জরিত ভারত। প্রথম সারির দশটি ইন্ডাস্ট্রি ভাইরাস দ্বারা প্রভাবিত। চিন্তা বাড়াচ্ছে ম্যালওয়্যার।

শিক্ষা – গবেষণা, হেলথকেয়ার, ইউটিলিটিস, সরকারী অথবা মিলিটারি, ইন্সুরেন্স কিংবা আইনি, ইন্টারনেট সার্ভিস , ম্যানুফ্যাচারিং, ফাইন্যান্স বা ব্যাঙ্কিং, যাতায়াত ব্যবস্থা, সফটওয়্যার ভেন্ডার হ্যাকারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উপরোক্ত যে কোনো সেক্টরে যুক্ত থাকতে পারে একজনের গুরুত্বপুর্ণ কোনো তথ্য। হ্যাকাররা তা জানেন। এখানেই বিপদ, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

আইটি সুরক্ষা সংস্থা কুইক হিল টেকনোলজিসের এন্টারপ্রাইজ শাখা সেক্রিটের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে দেশের ৩০ শতাংশের বেশি সাইবার সমস্যার সামনে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। ২০২১ সালের আগস্টে, ‘চেকপয়েন্ট ‘ রিপোর্ট করেছিল যে ভারতে শিক্ষা বা গবেষণা সংস্থা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫,১৯৬ টি আক্রমণের সঙ্গে সর্বোচ্চ পরিমাণে আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। বিষয়টি ২০২১ সালের প্রথমার্ধ থেকে ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ফায়ারআই জানিয়েছিল, হ্যাকাররা ভারতভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে টার্গেট করেছে। যার ফলে রোগী ও চিকিৎসকের তথ্য সম্বলিত ৬৮ লাখ রেকর্ড চুরি হয়েছে। অক্টোবর ১, ২০১৮;এবং মার্চ ৩১, ২০১৯- এর মধ্যে, ফায়ারআই থ্রেট ইন্টেলিজেন্সর এই দাবি ভাবতে বাধ্য করে।

রিপোর্টে ইনজেক্টেড ম্যালওয়্যারের কারণে কোনও বিঘ্নের কথা উল্লেখ করা হয়নি, তবে এটি ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০-এ মুম্বাইয়ের একটি বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কথা বলা হয়েছে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগকেও সাইবার আক্রমণের বাইরে রাখা যাচ্ছে না আপাতত।

লকডাইনের সময় জুম মিটিং এবং গুগল মিট-এর মাধ্যমে যখন মিটিং ও ক্লাস চলছিল, তখন কিছু মিটিং হ্যাকারদের দ্বারা হাইজ্যাক করা হয়েছিল এমন আশঙ্কার কথা শোনানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক লোক, এমনকি যখন তাদের মাইক এবং ক্যামেরা বন্ধ ছিল, তখনও অন্যদের কাছে শ্রবণযোগ্য এবং দৃশ্যমান ছিল।

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুন মাসে, চিনের একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত হ্যাকার গ্রুপ ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং অন্যান্য ভারতীয় সংস্থাগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। ২০২১ সালের ১৬ জুন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম রেকর্ডেড ফিউচার দাবি করেছিল তারা চিনকে সন্দেহের তালিকায় রাখছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির ইউনিট ৬৯০১০’র কথা উল্লেখ করা রয়েছে রিপোর্টে। ২০২১ সালের এপ্রিলে বিপিন রাওয়াত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘চিন আমাদের ওপর সাইবার হামলা চালাতে সক্ষম। আমাদের বিপুল সংখ্যক সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে।’