গত আইএসএল মরশুমে ও খুব একটা নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে পারেনি লাল-হলুদ (East Bengal) শিবির। শুরুর দিকটা অপেক্ষাকৃত ভালো হলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই বাকিদের থেকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেদের।
যারফলে, মরশুম শেষে লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে থেকেই নিজেদের অভিযান শেষ করে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এই নিয়ে টানা তিনটি মরশুমে হতশ্রী পারফরম্যান্স বজায় থাকল লাল-হলুদের। যা দেখে হতাশ ছিল সকলেই। তবে আইএসএলের এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী মরশুম থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দল। পাশাপাশি আগামী দুই বছরের মধ্যে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে এগোতে চাই কলকাতার এই প্রধান। সেজন্য দলের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কে বিদায় জানিয়ে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে দলের দায়িত্ব সপে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।
একটা সময় এই কোচের হাত ধরেই আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এমনকি সুনীল ছেত্রীদের ফেডারেশন কাপ জয়ের ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই কোচের। এবার এই কোচের পছন্দ মতো দল সাজাতে মরিয়া লাল-হলুদ শিবির। তবে এক্ষেত্রে বিদেশি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে কিছুটা ধীরে চলো নীতি প্রয়োগ করা হলেও দেশীয় ব্রিগেড কে শক্তিশালী করতে যথেষ্ট সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইমামি ম্যানেজমেন্ট। শোনা গিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষদের ঘর ভেঙে একেরপর এক খেলোয়াড় কে দলে টানতে চায় মশাল ব্রিগেড। তারমধ্যে সবার উপরে নাকি রয়েছেন ওডিশা এফসির নন্দকুমার শেখর। তার সাথে নাকি চুক্তি সেরে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখানেই শেষ নয়।
এবার নাকি ওডিশা এফসির আরেক ফুটবলারের দিকে নজর পড়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তিনি নরেন্দর গেহলট। যার উপর দলের রক্ষনভাগের দায়িত্ব দিয়েছিল ওডিশা। তবে এই তরুন ফুটবলারের সাথে আরো এক বছরের চুক্তি থাকলেও আগামী মরশুমের জন্য তাকে দলে টানতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল। তাছাড়া এই তরুন ফুটবলার কে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে নাকি সম্মতি দিয়েছেন খোদ লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। তবে এক্ষেত্রে বড় ট্রান্সফার ফি দিতে হবে ওডিশা এফসি কে।