Wriddhiman Saha: বাংলা ছাড়ছেন ঋদ্ধিমান সাহা?

ফের বিতর্ক ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha ) নিয়ে। সোমবারই রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী পর্বের জন্য বাংলা দল নির্বাচনে বসেছিলেন বাংলার কোচ, নির্বাচকরা। দেখা যায় বাইশ জনের…

Wriddhiman Saha leaving Bengal

ফের বিতর্ক ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha ) নিয়ে। সোমবারই রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী পর্বের জন্য বাংলা দল নির্বাচনে বসেছিলেন বাংলার কোচ, নির্বাচকরা। দেখা যায় বাইশ জনের দলে ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ সামির নাম রাখা হয়েছে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার হয়ে খেলার বদলে শোনা যাচ্ছে ঋদ্ধিমান সাহা সিওএবির কাছে ছাড়পত্র চেয়েছেন। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের হয়ে খেলতে গেলে তখনই এই ছাড়পত্র লাগে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে বাংলা ছাড়তে চাইোছেন ঋদ্ধিমান!

কিন্তু হঠাৎ কেন বাংলা ছাড়তে চাইছেন তিনি? এর আগে রঞ্জি গ্রুপ লিগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তখন সিএবির যুগ্ম দেবব্রত দাস ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তখন কিছু না বললেও সোমবার তাকে দলে রাখার পর ক্ষোভ উগরে দিলেন এই বাঙালী উইকেটকিপার। এর মধ্যেও ছোট্ট ঘটনা আছে। বাংলার দল নির্বাচনের আগে সিএবি কর্তারা জাতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ সামির সঙ্গে কথা বলেছিলেন ফোনে। তার কারন বোর্ড যদি সামিকে অনুমতি দেয় তাহলেই তিনি বাংলার হয়ে খেলতে পারবেন। তরপর সামিকে দলে রাখা হয়। কিন্তু ঋদ্ধির সঙ্গে কোনও কথা বলেন নি সিএবি কর্তারা। সেটাও অপমানের কারণ হতে পারে বলে মনে করছে কেউ কেউ।

Bengal
রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী পর্বের জন্য বাংলা দল নির্বাচনে বসেছিলেন বাংলার কোচ, নির্বাচকরা। দেখা যায় বাইশ জনের দলে ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ সামির নাম রাখা হয়েছে

দল ঘোষনার পর সোমবার রাত্রে ঋদ্ধি অনেকবার চেষ্টা করেও সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নি। মঙ্গলবার দুপুরে সিএবি সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয় ঋদ্ধিমানের। তখনই তিনি সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সিএবি সভাপতির কাছে। শোনা যাচ্ছে সভাপতিকে ঋদ্ধি জানিয়েছেন দেবব্রত দাস যেহেতু তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এতদিন বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলার পরেও, তাই তিনি প্রবল অপমানিত হয়েছেন। এই সময়ই ছাড়পত্র চান ঋদ্ধি।

ঘনিষ্ট মহলে ঋদ্ধি জানিয়েছেন যুগ্ম সচিব প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তিনি আর বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলতে চান না। দল নির্বাচনের আগেও নির্বাচকরা তার সঙ্গে কথা বলেন নি। এটা নিয়ে মুখে কিছু না বললেও স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বিষয়টি তিনি ভালো চোখে দেখেন নি।