World Cup Qualifier: ক্রোটদের কাছে দুর্ভেদ্যই থাকল ফরাসি দুর্গ, ছুটছে এরিকসেনের ডেনমার্ক

দেখতে দেখতে আরও একটি বিশ্বকাপ (World Cup) আসন্ন। চার বছর আগেরও হলেও, এত সহজে সেই দুঃখ কী করে ভুলবেন ক্রোটরা? ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের…

দেখতে দেখতে আরও একটি বিশ্বকাপ (World Cup) আসন্ন। চার বছর আগেরও হলেও, এত সহজে সেই দুঃখ কী করে ভুলবেন ক্রোটরা? ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরেই তো স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল ডালিচের শিষ্যদের। কিন্তু এই চারবছর ধরে সেই হারের প্রতিশোধটা আর নিতে পারলেন না লুকা মদ্রিচ-পেরিসিচ-ব্রজভিচরা। এর মাঝে তিনবার ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ক্রোয়েশিয়া। ফরাসি দুর্গ তাদের কাছে দুর্ভেদ্যই রয়ে গিয়েছে।

উয়েফা নেশন্স লিগে আরও একবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। শেষ দিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চেপে ধরেও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। ম্যাচটি ১-১ গোলে শেষ হয়। এই নিয়ে শেষ নয় ম্যাচে ক্রোটদের বিরুদ্ধে অপরাজিত রয়েছে ফ্রান্স। যার মধ্যে ফরাসি ব্রিগেড জিতেছে ছটিতে, বাকি তিনটি ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে।

তবে বিশ্বকাপের দুই ফাইনলিস্ট কিন্তু চলতি নেশন্স লিগে বেশ অস্বস্তিকর জায়গায় রয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে কেউই দেখা পায়নি জয়ের। প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে বেনজিমার গোলে এগিয়ে থেকেও হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি দিদিয়ের দেশমের ছাত্ররা। ক্রোয়েশিয়া তো আবার অস্ট্রিয়ার মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে হেরে এই টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেছে। ফলে লিগ এ-র গ্রুপ ওয়ানে সবার নীচে ক্রোটরা। তার ওপরেই রয়েছে ফ্রান্স। দুই নম্বরে অস্ট্রিয়া। প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখা ড্যানিশরা রয়েছেন শীর্ষে। এদিন এই গ্রুপের অপর ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ডেনমার্ক।

ব্যস্ত সূচিতে খেলোয়াড়দের পরিপূর্ণ বিশ্রাম দিতে প্রথম একাদশে দশটি পরিবর্তন নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াও তাদের প্রথম একাদশে পরিবর্তন আনে ছটি। নতুন রুপের দুই দলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধে মেলেনি গোলের দেখা। দুই দলই সারা ম্যাচ জুড়ে লড়েছে প্রায় সমানে সমান। বল দখলের লড়াইয়ে ফ্রান্সের পক্ষে ছিল ৫২ শতাংশ, ক্রোয়েশিয়া ৪৮ শতাংশ। এমনকি দুই দলই গোলের জন্য জাল বরাবর শট নিয়েছে সমান ৫টি করে। তবে প্রথম সাফল্য পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোল করেন আদ্রিয়েন র‍্যাবিয়ট। উইসাম বেন ইয়েদেরের দুর্দান্ত থ্রু পাস ধরে জোরালো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই তারকা মিডফিল্ডার।

পিছিয়ে পড়া ক্রোয়াটরা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে গোলের। কিন্তু মেলেনি সফলতা। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি থেকে আসে গোল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন আন্দ্রে ক্রামারিচ। ভিএআর দেখে দেওয়া হয় পেনাল্টি। ক্রামারিচ নিজেই গোল করে দলকে এক পয়েন্ট এনে দেন। ক্রামারিচের এই গোলের সুবাদে এবার পয়েন্টে খাতা খুলল ক্রোটরা। একই ভাবে ফ্রান্সেরও চলতি প্রতিযোগিতায় এটি প্রথম পয়েন্ট।