বড় ব্যবধানে হেরেছে শুধু তাইই নয়, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে লজ্জার পরাজয় হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসির (East Bengal)। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জিতে আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদ শিবির ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল ‘ইস্টার্ন ড্রাগনর্সে’র কাছে।
গত ম্যাচের ছিটেফোঁটাও ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দেখাতে পারলে অন্তত হারতে হতো না লাল হলুদ ব্রিগেডকে। তাই ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টিমের খেলোয়াড়দের আত্মতুষ্টিকে হারের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করে কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন বলেন,”দলের কয়েকজন খেলোয়াড় বোধহয় ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল, ম্যাচটা শেষ হয়ে গিয়েছে। যদিও বিরতিতে ছেলেদের বলে দিয়েছিলাম ফল নিয়ে ভেবো না, ধরে নাও গোলশূন্য এবং আমাদের আরও একটা গোল করতেই হবে। “
খেলার প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার পর সেকেন্ড হাফে খেলা শুরু হওয়ার আগের মুহুর্ত যেকোনো দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে মাইন্ড গেম চলে খেলোয়াড়দের মধ্যে। গোলের লিড থাকলে দ্বিতীয়ার্ধে কিভাবে ব্যবধান বাড়ানো যায়,পিছিয়ে থাকলে ভিন্ন স্ট্র্যাটেজি,গোল না পেলে আবার সম্পূর্ণ আলাদা গেম প্ল্যান নিয়ে ছোট্ট সময়ে নিখুঁত ছক কষে ফেলা।এই সময়ে ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়দের সঙ্গে লাল হলুদ শিবিরের বৃটিশ কোচ কনস্টাটাইনের কথা হয়েছিল স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন,”সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। খেলোয়াড় পরিবর্তন করার কথাও মনে হয়নি। “এরপরেই আক্ষেপের সুর ঝড়ে পড়লো বৃটিশ কোচের মুখ থেকে।কনস্টাটাইনের কথাতে,”হঠাৎ করে ছেলেরা যেন সুইচ অফ করে বসে রইল এবং তারই শাস্তি পেতে হল আমাদের।”
পেশাদার ফুটবলে এবং ইস্টবেঙ্গলের মতো বড়ো দলে খেলতে এসে ফুটবলারদের এমন মানসিকতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আখেরে ভুগতে হবে লাল হলুদ ভক্তদের। গোড়া থেকেই ইস্টবেঙ্গলের কোচিংর দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই স্টিফেন কনস্টাটাইন ভক্তদের উদ্দ্যেশে বলে আসছেন এটা নতুন দল,নতুন সেট আপ,উন্নতির জন্য ধৈহ্য ধরতে হবে… কিন্তু কথা হচ্ছে খেলোয়াড়দের কাছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব,পরিবেশ,টিমমেটরা নতুন হতে পারে,ফুটবলারদের কাছে ফুটবলটা নতুন নয়,কেননা এটা তাদের পেশা।তাই ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ভুলগুলোকে ভুল বললে খাটো করে দেখা হবে,প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লাল হলুদ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স শিশুসুলভ।