এবছর কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে এই খেতাব জয় করেছে ক্লেটনরা। সেই সুবাদে নতুন সিজনে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেবে দল। যা নিয়ে খুশি সমর্থকরা। তাই এবারের আইএসএলের মাঝামাঝি সময় থেকেই দলকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিদেশি তারকা মাদিহ তালাল থেকে শুরু করে ভারতীয় তারকা ডেভিড লালাসাঙ্গা, দেবজিত মজুমদার ও প্রভাত লাকরার মতো ফুটবলারদের চূড়ান্ত করে ফেলেছে দল। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। দলের অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার পাশাপাশি হিজাজি মাহের এবং সাউল ক্রেসপোর মতো ফুটবলারদের সঙ্গে ও চুক্তি বাড়িয়েছে ক্লাব।
এছাড়াও দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোসের পাশাপাশি আরও বেশকিছু ফুটবলারদের দলে টানার পরিকল্পনা রয়েছে লাল-হলুদের। নতুন মরশুমে এএফসির টুর্নামেন্টের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলে ভালো পারফরম্যান্স করাই একমাত্র লক্ষ্য তাদের। এজন্য স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের নির্দেশ মতো খেলোয়াড় আনতে চাইছে লগ্নিকারী সংস্থা। জুলাইয়ের শেষের দিকে ডুরান্ড কাপের মধ্য দিয়ে নতুন ফুটবল মরশুম শুরু হলেও তার আগেই এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ের কোয়ালিফায়ার রাউন্ড খেলতে হবে লাল-হলুদ শিবিরকে। যা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে মহেশদের কাছে। সেক্ষেত্রে কাদের সাথে খেলতে হতে পারে এই প্রধান কে? উঠে আসল একাধিক শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের নাম।
যাদের মধ্যে রয়েছে আল ফয়সালি থেকে শুরু করে রাবশন কুলব, আল আহলি, কুয়েত এফসি এবং এফসি আরকাদাগের মতো দাপুটে দল। বলতে গেলে ধারে ভারে ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে এই প্রত্যেকটি ক্লাব। রেকর্ড অনুযায়ী জর্ডানের যথেষ্ট শক্তিশালী ক্লাব এই আল ফয়সালি। জর্ডনের ফুটবল লিগে এবছর দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে এই ফুটবল ক্লাব। মাত্র দুই পয়েন্টের জন্য খেতাব হাতছাড়া হয়েছে তাদের। পাশাপাশি এবারের তাজিক লিগের চতুর্থ স্থানে রয়েছে এই রাবশন কুলব। এছাড়াও এবারের প্রো লিগের তৃতীয় স্থানে রয়েছে আল আহলি। তাদের আগেই রয়েছে শক্তিশালী আল হিলাল এবং আল নাসেরের মতো ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে লাল-হলুদকে হেলায় হারানোর আভাস দেয়।
তাছাড়া কুয়েত এফসিকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। এবারের প্রিমিয়ার লিগে যথেষ্ট দাপট থেকেছে তাদের। অন্যদিকে, তুর্কমেনিস্তানের দল আরকাদাগের ও সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে ব্যাপকভাবে। যা নিঃসন্দেহে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। যদিও এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয় কোনো কিছু। তবে সব ঠিকঠাক এগোলে এই শক্তিশালী দল গুলির বিপক্ষেই খেলতে হবে কুয়াদ্রাতের দলকে।