কোথায় দেখা যাবে ভারত-কুয়েত ম্যাচ? জেনে নিন

কিংস কাপ ও মারডেকা কাপের ব্যর্থতা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য ভারতীয় ফুটবল দলের। সেই মর্মে আগামী ১৬ নভেম্বর ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের…

India vs Kuwait Football Match

কিংস কাপ ও মারডেকা কাপের ব্যর্থতা ভুলে এবার ঘুরে দাঁড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য ভারতীয় ফুটবল দলের। সেই মর্মে আগামী ১৬ নভেম্বর ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ালিফায়ার রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নামছে সুনীলরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী কুয়েত দল। তাদের বিপক্ষে জিততে পারলে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে ভারতের। তবে এবার লড়াই আরও অনেক বড়ো।

Advertisements

এবার যে বাইরের মাঠে খেলতে হবে ছাংতে-মহেশদের। যেখানে নিজেদের শক্তির থেকে ও আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে কুয়েত দল।এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ পকেটে পুড়তে অনেকটাই বেগ পেতে হবে ইগর স্টিমাচের ছেলেদের। সবদিক মাথায় রেখেই গতকাল এই ম্যাচ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলে ছিলেন দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানিয়েছিলেন, আমরা এবার যখন কুয়েতের বিপক্ষে খেলবো তা আগের মতো হবে না। এবার সেই ম্যাচ অনেকটাই আলাদা হবে। বিশেষ করে এখানকার সমর্থকরা একটা ফ্যাক্টর হতে পারে। তাছাড়া নিজেদের ঘরের মাঠে যেকোনো দল আলাদা ভাবেই পারফরম্যান্স করে। কিন্তু ওদের ও চাপ থাকবে। কারন আর যাই হোক আমাদের সকলের লক্ষ্য থাকবে পরের রাউন্ডে স্থান করে নেওয়া।

তবে প্রশ্ন ছিল যে কোথায় দেখা যাবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রথমদিকে এই নিয়ে তেমন কিছু না জানা গেলেও বর্তমানে এই নিয়ে উঠে আসল নয়া আপডেট। যতদূর জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ তারিখ ভারতীয় সময় রাত ১০টা থেকে এই ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে। পাশাপাশি ফ্যানকোডের মাধ্যমে ও দেখা যাবে এই ফুটবল ম্যাচ। সেক্ষেত্রে আলাদা করে রিচার্জ করতে হবে ফুটবল প্রেমীদের। বর্তমানে ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সকলের মধ্যে উন্মাদনা চরমে থাকলেও এই ম্যাচের দিকে ও তাকিয়ে থাকবে আপামর দেশবাসী।

তবে এবারের এই চলতি বছরে একটি টুর্নামেন্টে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুটি ফুটবল দল। সেটি বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। প্রথমে শক্তিশালী লেবানন দলকে পরাজিত করেছিল সুনীল ব্রিগেড। তারপর বহু বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কুয়েতের মুখোমুখি হয় ইগর স্টিমাচের ছেলেরা। সেখানে প্রথমদিকে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে আনোয়ার আলীর আত্মঘাতী গোলের দরুণ পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে। তবে সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয় দুই দল। সেখানে নির্ধারিত সময়ের শেষে খেলার ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও সাডেন ডেথে জয় তুলে নেয় স্টিমাচ ব্রিগেড।