বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দল ঘোষণা করে বিসিসিআই। দেখা যায়, তাতে রয়েছেন যশশ্বী জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ। বলা হচ্ছে, আইপিএলে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলার ফল স্বরূপ আন্তর্জাতিক দলে ডাক পান দুজনেই।
সমস্যা এখানেই শুরু। অনেকে তাঁদের অভিনন্দন জানালেও, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও প্রশ্ন যশশ্বী বা রুতুরাজ কারর দিকেই নয়। প্রশ্ন নির্বাচকদের দিকে! তবে কি আইপিএলই শেষ কথা বলছে আজকাল! ঘরোয়া ম্যাচ বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের কোনো দাম নেই?
এমনই প্রশ্ন তুলে টুইট করেন ভারতের আরের ব্যাটার অভিনব মুকুন্দ। লেখেন, “আমি বুঝিনা, নির্বাচন হয় কি দেখে.. একটা টুইটে সব কিছু বলা সম্ভব না। এই তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে রাজ্যের হয়ে খেলে গর্ব করার মতো কি রইল রইল তাহলে? পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, ফ্র্যাঞ্চাইজে খেললেই ঝটপট এগোনো যায়।”
Unable to understand these selections- too many thoughts in my head to compile into a tweet. But what is the incentive for a young player to take pride in playing for his state anymore? Clearly the franchise route is a faster way to scale the grade. #INDvsWI
— Abhinav Mukund (@mukundabhinav) June 23, 2023
বলা বাহুল্য, যশশ্বী এবং দুজনেই অন্যতম সেরা খেলেছেন আইপিএলে। বিশেষত রুতুরাজ বিগত কয়েকটি আইপিএল জুড়েই ভালো খেলেছেন। যদিও যশশ্বীর মতোন টেস্টেও সুযোগ পাননি রুতু।
তবে উল্টো দিকে আরো কটা নাম ভুললে চলবে না। বাংলার অধিনায়ক তথা ভারত ‘এ’র অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং মুম্বইয়ের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলা সরফরাজ খান।
মুকুন্দের প্রশ্ন কি সত্যিই ফেলে দেওয়ার মতো? অন্ততপক্ষে সরফরাজের উদারণ যদি সামনে রাখা হয়, তাহলে দেখা যাবে আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলে বিশেষ লাভ হয়নি তাঁর। এদিকে প্রথম শ্রেণীরর রেকর্ড দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায়! তাহলে সত্যিই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে রঞ্জির তাৎপর্য? আইপিএলই কি সব? প্রশ্ন থেকেই যায়।