গত মরসুমের মতো এবারেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছেন অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা (Cleiton Silva)। মরসুমের শুরুর দিকে তাঁকে কিছুটা শ্লথ মনে হলেও ধীরে ধীরে ফিরেছিলেন চেনা ফর্মে। ক্লাব সমর্থকদের একাংশের বক্তব্য, এবার বিদায় জানানো হোক তাঁকে। আবার কেউ কেউ বলছেন, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সিলভার পথ চলা হোক আরও দীর্ঘ।
ইস্টবেঙ্গল এফসি এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মন্দ খেলেনি। বিগত কয়েক মরসুমের তুলনায় এবার বেশ ভালই লড়াই দিয়েছিল মশাল বাহিনী। আর একটু চেষ্টা করলে দল চলে যেতে পারতো প্লে অফ রাউন্ডে। ইস্টবেঙ্গল যে কটা ম্যাচ জিতেছে তাতে ক্লেইটন সিলভার অবদান রয়েছে নিশ্চিতভাবে। স্রেফ তর্কের খাতিরে নয়, পরিসংখ্যান বলছে ক্লাবের পারফরম্যান্সের পিছনে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অবদান রয়েছে কতটা।
ইস্টবেঙ্গল এফসির হয়ে সিলভা ২১ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন। আগের মরসুমে তিনি ছিলেন গোল্ডেন বুট জয়ের দাবিদার। ওড়িশা এফসির দিয়েগো মরিসিও শেষ হাসি হাসলেও, সিলভা কার্যত একা টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। গতবারের তুলনায় এবার তাঁর পারফরম্যান্সের গ্রাফ কিছু নিম্নমুখী ছিল।
তা সত্ত্বেও সিলভার ব্যক্তিগত প্রতিভা পুরো মরসুম জুড়ে ইস্টবেঙ্গল এফসির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল। ১১ টি গোলের পিছনে অবদান রেখে মরসুম শেষ করেছেন ক্লেইটন। ক্লাবের অন্যান্য সমস্ত খেলোয়াড়কে পিছনে ফেলে দিয়েছেন এ ব্যাপারে। ক্লাবের শীর্ষ স্কোরার হিসাবে ধরে রেখেছেন নিজের জায়গা।
সিলভা দলের ছয়টি জয়ের মধ্যে পাঁচটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই ম্যাচগুলিতে হয় স্কোর, নয়তো অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি।