ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টর্মার এই বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবের অন্ধভক্ত!

সদ্য নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ব্রিটেনের ক্ষমতা দখল করেছে লেবার পার্টি (UK Election Keir Starmer)। ৬১ বছর বয়সী মানবাধিকার আইনজীবী কেইর স্টর্মারই (UK Election…

সদ্য নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ব্রিটেনের ক্ষমতা দখল করেছে লেবার পার্টি (UK Election Keir Starmer)। ৬১ বছর বয়সী মানবাধিকার আইনজীবী কেইর স্টর্মারই (UK Election Keir Starmer) নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ব্রিটেনের। আর এতেই উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে ব্রিটেনের একটি ফুটবল ক্লাব।

শুধু ইংল্যান্ডেই নয়, ভারতেও এই ক্লাবের অসংখ্য সমর্থক রয়েছেন, যারা এই খবরটি পড়ে নিশ্চয়ই উচ্ছ্বসিত হবেন। শুধু তাই নয়, নাইট উপাধি পেয়েও কোনও বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে পছন্দ নয় নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (UK Election Keir Starmer)।

   

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সারির ক্লাব আর্সেনালের একেবারে অন্ধ ভক্ত নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টর্মার। ছোটবেলায় ফুটবল খেলতে খুবই ভালোবাসতেন। স্টর্মারের ফুটবল প্রীতি নিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টারিরও খোঁজ পাওয়া যায়। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নিজের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বয়সে এসে মাঠে নেমে খেলাটা হয় না ঠিকই, কিন্তু ভরা স্টেডিয়ামে বসে ফুটবল খেলা দেখতে তাঁর খুবই ভালো লাগে।

অধিনায়কের হুঙ্কার, World Cup-এর পর ভারত এবার জিতবে সোনার পদক!

নিজের সন্তান এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে একেবারে মাঠে গিয়ে বসে ফুটবল খেলা উপভোগ করাটা তাঁর কাছে অত্যন্ত প্যাশনের একটা বিষয়। একমাত্র ফুটবলই এমন একটা জিনিস যেটা দেখার সময় তিনি রাজনীতিকে ভুলে যেতে পারেন এমনটাই বক্তব্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর।

লন্ডনের হলবর্ন এন্ড সেন্ট পিটার্স আসন থেকে ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন স্টর্মার। শৈশব কেটেছে চরম দুঃখের মধ্যেই। পেশায় নার্স ছিলেন মা, কিন্তু তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। কাঠমিস্ত্রি বাবা বাড়িতে থাকলেও খুব একটা সম্পর্ক রাখতেন না। আর তাই নিজের দাম্পত্য জীবনে স্টর্মার সবসময় যেন ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করেন। রাজনীতি এবং নিজের ওকালতির পেশার পাশাপাশি নিজের স্ত্রী এবং সন্তানদের সময় দেওয়াটা তাঁর কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি দাবী করেন।

গ্রিসের জাতীয় দলে খেলা স্ট্রাইকার খেলবেন ISL?

তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে স্টর্মার সবসময়ই একজন প্রাণ খোলা হাসিখুশি বন্ধু হিসাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের থেকে পেয়েছিলেন নাইট উপাধি। কিন্তু নিজে কখনও সেই উপাধি বা ‘স্যার’ পদবি ব্যবহার করতে ইতস্ততই বোধ করেন ব্রিটেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।