শেষ ফুটবল মরশুমে একেবারে হতশ্রী পারফরম্যান্স থেকেছে লাল- হলুদের। শুরুটা যথেষ্ট ভালো হলেও সময় যতো এগিয়েছে ততই মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে দলকে। ইভান গঞ্জালেস থেকে শুরু করে জার্ভিস কিংবা দোহার্টি সাফল্য পেতে ব্যর্থ সকলেই। তাছাড়া ভারতীয় ফুটবলারদের অধিকাংশের পারফরম্যান্স ও আহামরি কিছু ছিলনা। তবে এসবের মাঝেই স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের আশার আলো হয়ে উঠেছিলেন নাওরেম মহেশ সিং (Naurem Mahesh।
দলের অধিকাংশ যখন নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ সেই সময়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন এই তারকা। এক কথায় বলতে গেলে প্রতিপক্ষের ত্রাস। শেষ মরশুমে দলের হয়ে সাতটি গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করে সহজেই সকলের নজরে চলে এসেছিলেন তিনি। যারফলে, পরবর্তীতে ভারতের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের জন্য জাতীয় দলে ডাক পান এই তারকা। বর্তমানে দেশের জার্সি গায়ে প্রমাণ ও করে চলেছেন নিজেকে।
এবার লাল-হলুদের সংসার থেকে তাকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া আইএসএলের দুই হেভিওয়েট ক্লাব। মুম্বাই সিটি এফসি ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। গতকাল ই রেকর্ড অর্থে অনিরুদ্ধ থাপা কে চূড়ান্ত করে ফেলেছে সবুজ-মেরুন। এবার নাওরেম কে পড়শি ক্লাব থেকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া মোহনবাগান। সেইসাথে সবুজ-মেরুন শিবিরে আসতে চলেছেন অজি তারকা জেসন কামিন্স। তার বর্তমান দল অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। এবার সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সবুজ-মেরুনের ঘোষণার অপেক্ষায় সকলে। তার উপরে নাওরেম মহেশ সিং যুক্ত হলে দল যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা
। কিছুদিন আগেই নন্দকুমার শেখর ও বোরহা হেরেরার নাম ঘোষণা করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তার সঙ্গে নাওরেম মহেশ সিংয়ের উপস্থিতি কতটা ভয়ানক হতে পারে তা ভালোই বুঝতে পারছে মোহনবাগান। তার সুযোগ বুঝে নাওরেম কে তুলতে চাইছে সবুজ-মেরুন। তাদের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব। অন্যদিকে, মুম্বাই সিটি এফসি্য তরফ থেকে ও আগ্ৰহ প্রকাশ করা হচ্ছে নাওরেম কে নিয়ে।
কিন্তু আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাওরেম মহেশ সিংয়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ব্রিগেডের। তবে দল গঠনের জন্য অর্থের সঙ্কট প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে ক্লাবের অন্দরে। সেকারনে ক্রাউডফান্ডিং করার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্লাব কতৃপক্ষ। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে নাওরেম কে ছেড়ে দিলে যথেষ্ট লাভবান হতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তবে সেক্ষেত্রে এই তারকা ফুটবলারের বিকল্প হিসেবে কাকে খেলাবে লাল-হলুদ? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।